ইরিত্রিয়া, পূর্ব আফ্রিকার ছোট একটি দেশ। সবার কাছে প্রায় অচেনা। রেড সি এর পাড়েই অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকদের একজন এখানে শাসন কায়েক করেছেন বলে মনে করেন সবাই। এই দেশ আরেকটি নামে বেশ পরিচিত, আফ্রিকার ‘উত্তর কোরিয়া’।
ছোট এই দেশের জনসংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। যেসব দেশ থেকে শরণার্থীরা চারদিকে ছুটে যান, তার মধ্যে এই দেশটি শীর্ষে আছে। ব্রিটেন পৃথিবীর যেকোনো দেশ অপেক্ষা ইরিত্রিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করে।
সেখানে যাওয়া সোজা কথা নয়। এই দেশটির ভিসা পাওয়া সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি। আবার শুধু ভিসা পেলেই চলবে না, সে দেশে গিয়ে যাই করবেন তার জন্য অনুমতি লাগবে। এমনকি চাইলেই রাজধানীর বাইরে যেতে পারবেন না। এ দেশের ইন্টারনেটব্যবস্থা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ধীরগতির একটি। বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার নিষিদ্ধ।
তবুও এ দেশের সৌন্দর্য আছে। কফি শপে বসে হয়তো কফি খাচ্ছেন, হঠাৎ করেই সেখানে হয়তো প্রবেশ করবেন সেখানকার জাতীয় বীর যোদ্ধা। এখানে দেখুন আফ্রিকার ‘উত্তর কোরিয়া’র কিছু অনবদ্য ছবি।
১. ইরিত্রিয়া ছিল ইতালির একটি কলোনি। এখানে সেই সময়ের অনেক স্থাপনা এখনো রয়ে গেছে।
২. রাস্তাফারিয়ান মেসিয়াহ এর ব্যক্তিগত ভবন, এখন ধ্বংসপ্রায়।
৩. সাইকেল চালাতেও বেশ স্টাইলিশ হতে হবে।
৪. মাসাওয়ার একটি বাড়ির নান্দনিক দরজা।
৫. দেশটির দক্ষিণ অংশের দৃশ্য।
৬. ইতালির একটি পুরনো ব্যাংকের ভবন। এখন কাহিল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
৭. সাধারণ বাড়িগুলো এমনই হয়।
৮. ইথিওপিয়ার সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার পরিত্যক্ত এক মিলিটারি যুদ্ধযান।
সূত্র : ইন্টারনেট