রাজধানী ঢাকার রাজপথে এবং গণপরিবহনে হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন পথচারী ও যাত্রী সাধারণ। দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না হলেই নানা কায়দায় যাত্রীদের নাজেহাল করা হয়। অশালীন মন্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি ছাড়াও পুলিশের সামনেই সিগনালে দাঁড়ানো গাড়ীতে ইট বা লাঠি দিয়ে আঘাত করতেও উদ্যত হয় এসব দলবদ্ধ চাঁদাবাজরা। ভয়ে কুঁকড়ে যান মহিলা বা শিশু যাত্রীরা।
হিজড়াদের দলবদ্ধ আক্রমণের মুখে নীরিহ পথচারীরাও রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন। বাসের চালক বা কনডাক্টররাও এদের ঠেকাতে পারে না দলবদ্ধ হামলার ভয়ে। মহানগরের সকল রুটেই এদের দৌরাত্ম্য। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর গণভবন থেকে দপ্তরে আসা-যাওয়ার পথ খোদ বিজয় সরণীতে সিগনালে দাঁড়ানো গাড়ী, মোটর সাইকেল বা বেবি-টেক্সি যাত্রীরাও রীতিমতো আতঙ্কিত থাকে এদের দাপটে।
সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে অন্তত ১৫ হাজার হিজড়া বসবাস করে। তাদের গুরুর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি। এসব গুরুই এলাকা ভাগ করে শিষ্যদের দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কাজ করাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব হিজড়া গুরুদের প্রায় প্রত্যেকেই রাজধানীতে প্রতিষ্ঠিত।
নগরবাসীদের অভিযোগ, হিজড়াদের এই উৎপাতের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ‘কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে হিজড়াদের গ্রেফতার করতে গেলে রীতিমতো ঝামেলায় পড়তে হয়।’
এ প্রসঙ্গে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে ছোটখাটো অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলেও কেউ ভয়ঙ্কর ধরনের অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেয়া হয় না।