Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশে ফিরতে বাংলাদেশিদের সহায়তা করবে ইইউ

euবিশ্বের যেকোনো স্থানে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছে এই ইউনিয়ন।

বাংলাদেশে ফিরে আসা নাগরিকদের দক্ষতার উন্নয়ন, জীবিকার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে ইইউ। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

chardike-ad

এতে জানানো হয়, বুধবার ব্রাসেলসে অভিবাসন, স্বরাষ্ট্র ও নাগরিকত্ব বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ত্রিমিট্রিস অভ্রমোপোলাসের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইইউ দেশগুলোতে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশি ইস্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে কমিশনার ত্রিমিট্রিস অভ্রমোপোলাস বলেন, ২০১০ সালে ২০ হাজার বাংলাদেশি ইইউ দেশগুলোতে থাকার জন্য বৈধতা পেয়েছে। তবে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিরা নিজ দেশে ফিরে গেলে বৈধভাবে বাংলাদেশিদের ইইউ দেশগুলোতে আসার সুযোগ উন্মুক্ত হবে। এ ছাড়া স্বদেশে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশিদের দক্ষতার উন্নয়ন ও জীবিকার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করবে ইইউ।

এ সময় রোহিঙ্গা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন দুই মন্ত্রী। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ দমনে ইইউ ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে একমত পোষণ করা হয়।

মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি কমিটির ভাইসচেয়ার ক্রিশ্চিয়ান ড্যান প্রেদার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বাংলাদেশের এ দুই মন্ত্রী। ইইউ সংসদ সদস্য প্রেদা ২০১৫ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন এবং ইইউ ও বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

এ বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফর করে আসা ইউরোপিয়ান সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন বলে জানান এ ইইউ এমপি।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম ও ইইউ-এ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইইউ ডেস্কের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ এ. খাস্তগীর উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। জনগণের বিশেষ করে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

শ্রম অধিকার বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, ইপিজেড আইন পুনরায় পর্যালোচনা করতে সংসদ থেকে আইনটির খসড়া প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটি পর্যালোচনা করা হবে।

এ সময় ইইউ সংসদ সদস্য প্রেদা ও অভিবাসন, স্বরাষ্ট্র ও নাগরিকত্ব বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ত্রিমিট্রিস অভ্রমোপোলাস বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।