Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেসবুক আপনাকে কি দেয়, ভেবে দেখেছেন কখনো?

facebookকাল রাতে সুমির ঘুম হয়নি। সন্ধ্যায় প্রোফাইল পিকচার বদলেছে। কিন্তু প্রায় দুই হাজার বন্ধুর মধ্যে একশটা লাইকও পড়েনি ছবিতে। ওদিকে সুমির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মিতার ছবিতে লাইক আট’শ ছাড়িয়ে গেছে। সারারাত সুমি মিতার অ্যালবামে থাকা ছবিগুলো খুঁটে খুঁটে দেখেছে। এভাবেই ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট মানুষের অনুভূতিতে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অনলাইনে বন্ধুদের সুখী জীবন দেখে অনেকেই ঈর্ষাপ্রবণ হয়ে পড়ছেন, সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

রাশিয়ার অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিশ্বের ১৬ হাজার ৭৫০ জন ব্যক্তির মধ্যে চালানো এক সমীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগের সঙ্গে হতাশা বৃদ্ধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

chardike-ad

গবেষণায় দেখা যায়, ফেসবুকে লাইকের ওপর এই বিষয়টি নির্ভর করে। অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রত্যাশিত সাড়া না পেলে হতাশায় ভোগেন। বন্ধুদের পোস্টে বেশি লাইক দেখে শতকরা ৪২ শতাংশ মানুষ ঈর্ষাবোধ করেন।

গবেষণা বলছে, সাধারণত ইতিবাচক সময় অতিবাহিত করার আশা থেকেই মানুষ এসব সাইটে সংযুক্ত থাকে। ৬৫ শতাংশ মানুষ বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। আর ৬০ শতাংশ মানুষ বিনোদন ও অবসর কাটানোর মাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হন। ভালো অনুভূতি পাওয়ার আশায় ফেসবুকে লগ ইন করলেও বন্ধুদের পোস্ট দেখে অধিকাংশই তিক্ততা নিয়ে লগ আউট করেন।

গবেষণায় পাওয়া যায়, বন্ধুর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ছবি দেখে শতকরা ৫৯ ভাগ মানুষ অখুশি হন। এর মধ্যে ৪৫ ভাগ মানুষ বন্ধুর ছুটি কাটানোর ছবি দেখে ঈর্ষান্বিত বোধ করেন।

শুধু তাই নয়, ভালো সময়ের স্মৃতি হঠাৎ সামনে এসে পড়লেও শতকরা ৩৭ ভাগ মানুষ নিজের অতীত পোস্ট দেখে পীড়াবোধ করেন। গবেষণায় প্রকাশ পায়, শতকরা ৭৮ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান কিন্তু আদতে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।