Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভুয়া খবর শনাক্তে ১০ উপায় বাতলে দিল ফেসবুক

ইন্টারনেটে ভুয়া নিউজ ঠেকাতে কাজ করছে সব পক্ষই। বিশেষ করে সার্চইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল এবং শীর্ষস্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক প্রচারণা কর্মসূচি আরো বিস্তৃত করলো ফেসবুক। এবার তারা যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

chardike-ad

সম্প্রতি দ্য টাইমস, গার্ডিয়ান এবং ডেইলি টেলিগ্রাফে বিজ্ঞাপন দিয়েছে ফেসবুক। সেখানে ভুয়া খবর শনাক্তে ১০টি উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা বা পোস্ট করা কোনো নিবন্ধের প্রকাশ তারিখ, ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং নিবন্ধটি প্রহসনমূলক কি না তা নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভুয়া খবর নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর এখন ব্রিটেনে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র বেশ রাজনৈতিক চাপে আছে ফেসবুক।

সম্প্রতি বিবিসি এক গবেষণায় দেখিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং বেক্সিট গণভোটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুবই ন্যক্কারজনক ভূমিকা রেখেছে।

গত মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফেসবুকও স্বীকার করেছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক অপপ্রচার চালিয়েছে।

ফেসবুক জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে লাখ খানেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বারবার একই কনটেন্ট পোস্ট অথবা মেসেজিং এর সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যাচ্ছে এ ধরনের অ্যাকাউন্টগুলো এখন নজরদারিতে রেখেছে ফেসবুক।

একই সাথে ফেসবুক সেই ধরনের কনটেন্টের র‌্যাংকিং কমিয়ে দিচ্ছে যেগুলো মানুষ পড়ছে কিন্তু শেয়ার করছে না।

ফেসবুক আরো জানিয়েছে, একটি কনটেন্টের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাইয়ে তারা তৃতীয়পক্ষ ফুল ফ্যাক্ট এবং ফার্স্ট ড্রাফটের সহায়তা নিচ্ছে। তবে এর জন্য আলাদা কোনো বাজেট তারা রেখেছে কি না বা ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে কতো টাকায় তারা ভাড়া করেছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি।

খবরের সত্যতা যাচাইয়ে ১০ টিপ

১. হেডলাইনের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে বা সংশয়বাদী হতে হবে

২. কনটেন্টের ইউআরএলটি (URL) ভালো করে খেয়াল করুন (ওয়েবসাইট)

৩. তথ্যের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নিন

৪. কনটেন্টের গঠনে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না যাচাই করুন

৫. ছবিটা ভালো করে খেয়াল করুন

৬. প্রকাশের তারিখ দেখুন

৭. কনটেন্টে উপস্থাপিত বিষয়ের সপক্ষে প্রমাণ যাচাই করুন

৮. একই ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রতিবেদনগুলো পড়ে দেখুন

৯. প্রতিবেদনটি আসলে মজা করার জন্য কি না নিশ্চিত হোন

১০. কিছু প্রতিবেদন বা নিবন্ধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ভুয়া হয় (বিদ্রুপাত্মক)

ভুয়া খবর তৈরি করে অনেকে প্রচুর টাকা কামায়। কারণ এসব খবরের ভেতরে তথ্যের চেয়ে বিজ্ঞাপনই বেশি থাকে। গুগল ও ফেসবুক বলছে, তারা এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তবে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

ভুয়া খবর শনাক্ত করার যে দশটি টিপ ফেসবুক দিয়েছে সেগুলোকে অনেকেই উপযুক্ত পরামর্শ বলেই মনে করছেন। তাছাড়া বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে এসব টিপ নতুন কিছু নয়।

তবে ফেসবুকে একটি খবরের লিংক নিউজফিডে চলে আসার পর যদি দেখা যায় সেটা পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য কেউ শেয়ার করেছে, তাহলে সেটি বিশ্বাস করার প্রবণতা বেশি থাকে। এই সমস্যাটি এখনও রয়েই যাচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি