Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মার্কিন বিমানের পথ আটকে দিল চীনা যুদ্ধবিমান

usa-bimanচীনের দুটি যুদ্ধবিমান পূর্ব চীন সাগরের আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানের পথ রোধ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই কাজকে ‘অপেশাদার’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

এনবিসি নিউজ জানায়, ডব্লিউসি-১৩৫ কনস্ট্যান্ট ফিনিক্স নামের মার্কিন বিমানটি গত বুধবার আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় নিয়মিত উড্ডয়নে অংশ নিয়েছিল। এ সময় চীনের দুটি সুখোই সু-৩০ যুদ্ধবিমান এসে মার্কিন বিমানটির পথ আটকে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদের ওই বিমান পূর্ব চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা যাচাই করতে গিয়েছিল।

chardike-ad

মার্কিন বিমানটির আরোহী কর্মকর্তাদের ভাষ্য, চীনা যুদ্ধবিমানের অবস্থান খুব বিপজ্জনক না হলেও কাজটি ‘অপেশাদার’ ছিল।

মার্কিন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল লরি হজ বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তাদের বিমানটি উড়ছিল। এ বিষয়ে কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী বেইজিংকে জানানো হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন জাহাজ ও বিমানগুলো চীনের ওপর নজর রাখছে। এটা সমুদ্র বা আকাশসীমায় সহজেই ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল সিদ্ধান্ত বা অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিতে পারে। আশা করা যায়, মার্কিন কর্তৃপক্ষ চীনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়টির প্রতি সম্মান দেখাবে।

প্রাকৃতিক সম্পদের আধার ও গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বাণিজ্যের পথ দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক তৎপরতার বিষয়ে চীন গভীরভাবে সন্দিহান। তারা নিজেদের উপকূলের আশপাশে মার্কিন নজরদারি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। ওই সাগর জলভাগের সীমানা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর পুরোনো বিরোধ রয়েছে।

দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমা এলাকার প্রায় পুরোটার ওপর চীন নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে। তারা সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ জোরদারের চেষ্টা করছে এবং এলাকায় নৌ টহল বাড়িয়েছে।

এএফপি জানায়, জাপান গতকাল শুক্রবার বলেছে, বিরোধপূর্ণ জলসীমায় অবস্থানকারী একটি চীনা জাহাজ দূরনিয়ন্ত্রিত উড়ন্ত যান চালানোয় টোকিও সেখানে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান পাঠায়। জলসীমা নিয়ে দুই দেশের পুরোনো বিরোধের প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা ঘটল। পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু বা দিয়াওউ দ্বীপ এলাকার মালিকানা নিয়ে চীন ও জাপানের বিরোধ রয়েছে।