আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, পিয়ংইয়ং থেকে ওয়াশিংটনে ফেরত যাওয়া একজন মার্কিন ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে এর ফল ভালো হবে না। এর ফলে উত্তর কোরিয়ায় এখনো আটক বাকি মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় আটক মার্কিন ছাত্র অট্টো ওয়ার্মবিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মুক্তি দেয় পিয়ং ইয়ং। ওই ছাত্র ওয়াশিংটনে ফেরত যাওয়ার এক সপ্তাহ পর মারা যায়। আমেরিকা অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়া ওই মার্কিন ছাত্রের জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কে এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আমেরিকায় যাওয়ার এক সপ্তাহ পর কেন ওই ছাত্র মারা গেল তা পিয়ংইয়ং’রও বোধগম্য নয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বাভাবিক শারিরীক অবস্থা নিয়ে আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে হঠাৎ করে কেন ওয়ার্মবিয়ার মারা গেল তা আমাদের জন্যও একটি রহস্য হয়ে আছে।”
মার্কিন প্রশাসন ২২ বছর বয়সি ওই ছাত্রের মৃত্যুকে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ করা হয়। তবে উত্তর কোরিয়ার ‘সুনাম ক্ষুণ্ন করা’র লক্ষ্যে আমেরিকা যা শুরু করেছে তা বন্ধ না করলে এখনো পিয়ংইয়ং’র কাছে আটক বাকি মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে বলে বিবৃতিতে সতর্ক করে দেয়া হয়।
গত বছরের গোড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার একটি হোটেল থেকে ওয়ার্মবিয়ারকে আটক ও সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, হোটেলটি থেকে একটি রাজনৈতিক পোস্টার চুরি করেছিলেন ওই মার্কিন ছাত্র।