Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধার্মিক হ্যাপির জীবনী

happyবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের এক সময়ের কথিত প্রেমিকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। হ্যাপির জীবনের গল্পের ওপর ভিত্তি করে লেখা ইসলামিক বই ‘হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ’ অথবা ‘আল্লাহর নারী বান্দা’র জন্য তাকে নিয়ে বিশদ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফপি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বইটির জন্য ‘ক্ষুধার্ত’ হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের পাঠকরা। জুনে প্রকাশিত হওয়ার পর হাজারেরও বেশি কপি বিক্রি হয়ে গেছে।

মাকতাবাতুল আজহার প্রকাশনার কর্ণধার মোহাম্মদ ওবায়দুল্লার বরাত দিয়ে এএফপি লিখেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বইয়ের অর্ডার আসছে। সবাই জানতে চাচ্ছে কীভাবে একজন তারকা এমন ইসলামিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলেন। প্রকাশক নতুন করে বইটি ছাপানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন।

chardike-ad

হ্যাপি একসময় নিজেকে ঢালিউডের ‘জনপ্রিয়’ নায়িকা হিসেবে দাবি করতেন। ২০১৩ সালে ‘কিছু আশা, কিছু ভালোবাসা’ ছবি দিয়ে রুপালি পর্দায় নাম লেখান। এক বছর বাদে রুবেল হোসেনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসেন। রুবেল বরাবর সেই অভিযোগ নাকচ দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এক সময় তাকে জেলে যেতে হয়। পরে আদালত ক্রিকেটারের পক্ষে রায় দেন। মুক্তি পেয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যান বাগেরহাটের পেসার। হ্যাপি নতুন করে বিনোদনপাড়ায় নিজের অবস্থান পাকা করতে নামেন।

কিন্তু পরিবর্তন দেখা যায় কয়েক মাস পর। ফেসবুক থেকে শতশত ছবি ডিলিট করতে থাকেন হ্যাপি। তার পরিবর্তে বোরকায় ঢাকা ছবি প্রকাশ করেন। নিজেকে ইসলামের সেবিকা বলে দাবি করতে থাকেন। তাবলিগেও অংশ নেন। এক সময় কোনও এক হুজুরের সঙ্গে তার বিয়ের খবর চাউর হয়। হ্যাপি অবশ্য সেই খবর অস্বীকার করেন। নিজে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘বিয়ে করলে নিজেই সবাইকে দাওয়াত দিব।’ এএফপি অবশ্য দাবি করছে, হ্যাপি এখন বিবাহিত।

হ্যাপি নাকি এখন সচারচর বাইরের লোকের সঙ্গে কথা বলেন না। আলোচিত এই নারীর জীবনীর লেখক আব্দুল্লাহ আল ফারুক তার স্ত্রীকে হ্যাপির কাছে পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।

তিনি বলেন, ‘হ্যাপির নাম এখন আমাতুল্লাহ হয়ে গেছে। এখন সব সময় তিনি পুরো শরীর বোরকায় আবৃত রাখেন।’

বইয়ে হ্যাপি লিখেছেন, ‘যখন বোরকা গ্রহণ করি এবং নাম পাল্টাই, তখন নিজেকে নবজাতকের মতো মনে হচ্ছিল। আগের জীবনের সঙ্গে আমার কোনও বন্ধন নেই। নতুন এক মানুষের গল্প এটি।’

বইয়ের লেখক জানিয়েছেন, গোটা লেখায় রুবেলের বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি নতুন করে হ্যাপিকে বিব্রত করতে চাননি।