Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চাকরি ছেড়ে সিঙাড়া বিক্রি করে কোটিপতি

munaf-kapadiaমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের আকর্ষণীয় বেতনের চাকরিতে তার মোটেই ভালো লাগত না। মায়ের হাতের রান্না আর বন্ধুদের সঙ্গে সিঙাড়া খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার জন্যই মন টানত। আর তাই পরিকল্পনা করে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে সিঙাড়া বিক্রির দোকান দেবেন। যদিও তা শুনে অনেকেই বলেছেন পাগলাটে চিন্তা। আরাম আয়েশের চাকরি ছেড়ে কি কারো সিঙাড়া বিক্রি করে পোষাবে?

ভারতের মুম্বাইয়ের বাসিন্দা মুনাফ কাপাডিয়া অবশ্য এ চিন্তাকেই সফল করে তুলেছেন। তবে তার পাগলাটে চিন্তা কিন্তু ফ্লপ করেনি। ভালোই জমেছে তার সিঙাড়া বিক্রির ব্যবসা। বর্তমানে তার রেস্তোরাঁর সিঙাড়া বিক্রির আয়ই কোটি রুপি। কিন্তু কেন এই পাগলাটে চিন্তা ও তার বাস্তবায়ন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুনাফ জানান, মুম্বাইয়ের নার্সি মনজি থেকে এমবিএ করে বছরখানেক দেশেই চাকরি করেছিলেন তিনি। এরপর ডাক পান গুগল থেকে। আমেরিকায় কয়েক বছর লেগে রইলেন মুনাফ। কিন্তু সাহেবদের দেশে তার মন বসেনি। সব রকম প্রলোভন ছাপিয়ে মায়ের হাতের রান্না করা খাবারের জন্য মুনাফের জিভ আনচান করত। সঙ্গে স্মৃতিতে ভর করে আসত বন্ধুদের আড্ডা। বন্ধুদের সঙ্গে দোকানে বসে চা-সিঙাড়া খাওয়ার সময়টার কথা ভেবে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠত। অগত্যা বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে।

chardike-ad

২০১৫ সালে তিনি ‘দ্য বোহরি কিচেন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে মুনাফের ‘দ্য বোহরি কিচেন’ হয়ে উঠল মুম্বাইয়ের অন্যতম আলোচিত ফুড ডেস্টিনেশন। এই রেস্তোরাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুড আইটেমটির নাম ‘স্মোকড মাটন কিমা সমোসা’। আর এই বিশেষ সিঙাড়া বিক্রি করেই তার এখন আয় কোটি রুপি।

মুনাফের মতে, স্বপ্নের নগরী মুম্বাইয়ে বহু মানুষ আসেন কাজের সন্ধানে। তারা সবাই নিজের ঘর আর প্রিয়জনের হাতের রান্না মিস করেন। তাদের জন্যই রেস্তোরাঁর ট্যাগলাইন তিনি দিয়েছেন ‘ঘর কা খানা’ (ঘরের খাবার) স্লোগান। ঘরের খাবারের স্বাদ দেওয়ার চেষ্টাই থাকে তার খাবারে। তবে শুধুমাত্র সিঙাড়াই নয়। মা-ছেলে মিলে আরও বেশ কিছু খাবার যোগ করেছেন মেনুতে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুনাফের রেস্তোরাঁর সামনে লেগে থাকে ভোজনরসিকদের লাইন। আনন্দবাজার।