Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় কৃষ্ণারা

women-footbal-bdআগামী ১০-২৩ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব। সেটিরই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে ধারাবাহিক বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে কাল রাতে দক্ষিণ কোরিয়া গেল মেয়েদের দল। কোরিয়া-যাত্রার আগে কাল দুপুরে বাফুফে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার, কোচ গোলাম রব্বানী। উপস্থিত ছিলেন বাফুফে ও ফিফার সদস্য মাহফুজা আক্তার।

কোরিয়া সফরে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। আগামীকাল ১১ জুলাই খেলবে কোরিয়া অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সঙ্গে, ১৪ ও ১৯ জুলাইয়ের প্রতিপক্ষ ওজু মিডল স্কুল মহিলা ফুটবল ক্লাব। ১৭ জুলাইয়ের ম্যাচটি হবে ইয়ুলমুন মিডল স্কুল মহিলা ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে। চূড়ান্ত পর্বের আগে বাফুফে এই মেয়েদের জন্য দেশের বাইরে অনেক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছে। এর আগে জাপানে দুই দফায় গিয়ে খেলেছে ৯টি প্রস্তুতি ম্যাচ, চীনে ৫টি ও সিঙ্গাপুরে ২টি।

chardike-ad

চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশ গ্রুপে খেলবে উত্তর কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে। এবারের দক্ষিণ কোরিয়া সফরটা তাই বেশ কাজে আসবে বলেই মনে করছেন কোচ গোলাম রব্বানী, ‘আমরা দশ দিন আগে জাপান থেকে এসেছি। সেখানে যে ভুলগুলো হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এই সফরে কোরিয়া অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সঙ্গে ম্যাচটি আমাদের জন্য পরীক্ষার সুযোগ। চীন, জাপান ও সিঙ্গাপুরে মেয়েরা যে ম্যাচগুলো খেলেছে সেগুলোর আসল পরীক্ষা হবে এখানে। শক্তিতে জাপান ও উত্তর কোরিয়ার প্রায় কাছাকাছি দক্ষিণ কোরিয়া। এখানে মেয়েদের ভালো অভিজ্ঞতা হবে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো থেকে বোঝা যাবে আমরা কী ভুল করেছি ও শিখেছি।’

গত বছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় যেমন ফুটবল খেলেছে মেয়েরা, এক বছরের অনুশীলনে উন্নতি হয়েছে অনেক। চূড়ান্ত পর্বের ড্রয়ের পর থেকে কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের ভিডিও দেখিয়ে আলাদা অনুশীলন ক্লাস করিয়েছেন কোচ। অনুশীলনে ও প্রস্তুতি ম্যাচে ফুটবলারদের পজিশন বদলে খেলানো হচ্ছে। তাদের নিয়ে চলছে নানা রকম পরীক্ষা। শুধু মাঠের ফুটবলেই নয়, মাঠের বাইরেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। বিদেশি খাদ্যাভ্যাস অভ্যস্ত করে তোলা হচ্ছে ফুটবলারদের। মিশরাত জাহান বলল, ‘বাইরের দেশে খেলতে গেলে ওই দেশের খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয় আমাদের। ওরা যে খাবার দেয়, তা খেতে আমরা অভ্যস্ত নই। এ জন্য আমাদের খাওয়ার মেন্যু বদল করা হয়েছে। সকালে কর্নফ্লেক্স দিচ্ছে, দুপুরে আলুসেদ্ধর সঙ্গে মুরগির মাংস। বিকেলে বিভিন্ন রকমের ফল এবং রাতে সবজি ও দুধ থাকে।’

ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানালেন কোচ, ‘ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের সময় মেয়েদের যে শক্তি, স্ট্যামিনা ছিল এখন এর চেয়ে অনেক বেশি। তহুরা এই দলের সবচেয়ে ছোট ফুটবলার। অথচ সে ১২ মিনিটে কুপার টেস্টে সাড়ে ২৯০০ মিটার দৌড়াচ্ছে। এটা অবিশ্বাস্য। বড় দলের সঙ্গে খেলতে গেলে এগুলো আমাদের কাজে লাগবে।’

অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘আগের চেয়ে আমরা অনেক ভালো ফুটবল খেলছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। জাপানে কিছু ভুলত্রুটি করেছিলাম, এবার সেগুলো শুধরে নিতে পারব। আমরা এখন অনেকটাই প্রস্তুত চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য। ভালো ভালো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে পারছি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া হলেও এখন আর ভয় কাজ করে না। আমাদের মনে হয় ওরাও ফুটবলার, আমরাও তা-ই।’