কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন ভবন সরানোর পর প্রায় প্রতিদিনই ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় হাইকমিশনের সেবা নিয়ে ফিরে যাবার সময় এক নিরাপত্তাকর্মী অহেতুক লাঞ্ছিত করেন সাধারণ প্রবাসীদের।
বিষয়টি এতটাই দৃষ্টিকটু ও লজ্জার ছিল যে এর তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন সেখানে উপস্থিত থাকা জাতীয় শ্রমিকলীগ মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল ও সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার। শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত হননি। এর নিন্দা জানিয়ে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন তারা।
নাজমুল ইসলাম বাবুল জানান, শুধু আমাদের মুখের কথায় নয়, এ ঘটনার পুরো ভিডিওচিত্র সিসিটিভি’তে দেখেছেন দূতাবাসের মিনিস্টার ওয়াহিদা বেগম। নিরাপত্তাকর্মীদেরে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে ক্ষোভও প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সাধারণ প্রবাসীদের ওপর এ নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য দূতাবাস কর্মকর্তাদের আরো সক্রিয় হবার অনুরোধ জানান এ শ্রমিক নেতা।
শাহ আলম হাওলাদার বলেন, দূতাবাস একজন প্রবাসীর সবচে’ নিরাপদ জায়গা। সেখানে ভিনদেশি নিরাপত্তাকর্মীরা যদি জুতাপেটা করে, তাহলে সাধারণ প্রবাসীরা কোথায় যাবে? তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধুনিক সেবা নিয়ে নতুন ভবনে সরানো হয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। সেবার মান বাড়লেও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
সম্প্রতি হাইকমিশনে সেবা নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মূলভবনে ঢোকানোর দায়িত্ব দেয়া হয় ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি।
শৃঙ্খলা কিছুটা ফিরে আসলেও প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা, চড়, থাপ্পড় তো রয়েছেই। কখনো কখনো হাইকমিশন চত্বর থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে দেরিতে হলেও নিরাপত্তাকর্মীদের হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় হাইকমিশনের প্রতিশ্রুতিতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ প্রবাসীরা।