Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নেয় তারা’

foreignerঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ নাইজেরিয়ানসহ ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। ডিবি বলছে, তারা প্রতারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে এরা প্রতারণা করছে; এক পর্যায়ে কৌশলে প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

chardike-ad

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জন অগডি ইউজিও, মাইকেল ইউজিনি ব্রাউন, নামডি কেলভিন, লিজা আক্কার ওরফে অ্যাসতা, আফেজ, মহসিন শেখ ও তাসমিয়া পারভিন শিমু।

আব্দুল বাতেন বলেন, প্রেমের মাধ্যমে তারা প্রতারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তি বুঝে প্রেমের সম্পর্ক করে। গভীর প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে কৌশলে তারা সব কিছু হাতিয়ে নেয়।

কামরুজ্জামান নামে একজন ভুক্তভোগীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কামরুজ্জামানের সঙ্গে ফেসবুকে প্রিসকা খালিফা নামে এক কথিত বিদেশী নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই মেয়ে তার মৃত বাবার অ্যাকাউন্টে ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার দেখিয়ে বাংলাদেশে ভিকটিমের মাধ্যমে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে। এই বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন বলে জানায়।

আব্দুল বাতেন বলেন, এরপর লিজা আক্তার এবং মোহসিন নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৪ টাকা হাতিয়ে নেয়। একইভাবে গ্রেপ্তারকৃত মাইকেল ও নামডি জানায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গার্মেন্টস ব্যবসার আড়ালে কিছু বাংলাদেশিদের সহায়তায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব টাকা তারা হুন্ডির মাধ্যমে পাকিস্তানি নাগরিক দানেশ রিজভির নিকট প্ররণ করেছে বলে জানান আব্দল বাতেন।

ব্যাংকে টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শুধু লিজার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার প্রায় ৮ থেকে ১০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি ব্যাংকে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের বিশ্লেষণে আরো কয়েকজন ভিকটিমের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শাহনূর হোসেন নামে একজন ভিকটিম এই প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা হারিয়েছেন।

এছাড়া এমন আরো অনেক ভিকটিম ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেছেন। বর্তমানে এমন দুইটি মামলা ডিবির তদন্তনাধীন রেয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্যাংকে তারা নামে বেনামে কীভাবে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, কোন কোন ব্যাংকে এ ধরনের লেনদেন হচ্ছে আমরা সেটি জেনেছি। তবে ব্যাংকের তদন্তের ব্যাপারে পুলিশের সিআইডি দেখাশোনা করে। তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।

তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সিটি ব্যাংক লিমিটেডে লিজা এবং ওই প্রতারক চক্রের ভুয়া অ্যাকাউন্ট রেয়েছে। যার মাধ্যমে তারা টাকা লেনদেন করে থাকে।

সৌজন্যে: অর্থসূচক