Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালিয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়তে ৪৭ হাজার কোটি টাকা‍ পাচার

malaysiaমালিয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ গড়ার অনুমতি পাওয়ার দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত ১৪ বছরে তিন হাজার ৫৪৬ জন বাংলাদেশি সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলেছেন। আর সেকেন্ড হোম গড়ে তুলতে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, বাংলাদেশিরা প্রথম ২০০৩ সালে সেকেন্ড হোম গড়ার আবেদন করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৩৫০টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রথম বছর ৩২ জন এ সুবিধা পেলেও এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৫৪৬ জন বাংলাদেশি এ সুবিধা পেয়েছেন। আর অপেক্ষায় রয়েছেন চার হাজার ৮০৪ জন। সেকেন্ড হোমে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছেন বাংলাদেশের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেকেন্ড হোম প্রোগ্রামে দেশটির ২৩৮টি এজেন্টের মধ্যে বাংলাদেশের সাব-এজেন্টের সংখ্যাই বেশি। এ নিয়ে বিভিন্ন অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে।

chardike-ad

এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৫৪৬ জন সেকেন্ড হোম গড়ে তোলায় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা। আবার সেকেন্ড হোমের আবেদন করতে হলে প্রায় ১ কোটি টাকা আগে জমা দেখাতে হয়। এ হিসাবে মালিয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে আরও প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় সরকার নির্ধারিত ফি’র সঙ্গে এজেন্ট ফিসহ একজনের প্রকৃত ব্যয় দাঁড়ায় ১২ কোটি টাকার ওপরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ’র (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমেক জানান, ‌‘ব্যবসায়িক লেনদেনের আড়ালে এসব অপকর্ম চলছে। দালালের মাধ্যমে নগদ লেনদেন ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে হুন্ডিতে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। যা এখন পাচার হিসাবে দেখানো হচ্ছে তার ৯৩ শতাংশ ব্যাংক টু ব্যাংক লেনদেন। বাকি ৭ শতাংশ যাচ্ছে ব্যক্তি টু ব্যক্তির মাধ্যমে, যা কালো টাকা হিসেবে শনাক্ত।’

এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমি বলে আসছি, পণ্য আমদানির আড়ালে দেশের বাইরে অর্থ পাচার হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একবার বিদেশে টাকা গেলে তা ফেরত আনা কঠিন। ফলে পাচারের পথগুলো বন্ধ করতে হবে।’ যুগান্তর