Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহমুদুল্লাহর ১ দশক

mahmudullahবর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। অর্থাৎ জাতীয় দলের জার্সিতে মাহমুদুল্লাহর ১০ বছর পূর্ণ হলো আজ।

কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ওডিআইতে হারলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের স্বাদ পান বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।

chardike-ad

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দশক পূর্ণ হলেও মাত্র ১৪৫টি ওডিআই এবং ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। অন্যদিকে গত ৮ বছরে মাত্র ৩৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের আনসান হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখলেও অন্য কোনো সতীর্থের কীর্তির আড়ালে বার বার হারিয়ে গেছে তার ভূমিকা। এখন পর্যন্ত ওডিআইতে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মাত্র ৪ বার। টি-টোয়েন্টিতে একবার ম্যাচসেরার পুরস্কার পেলেও দীর্ঘ ফরম্যাটের কোনো ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাননি তিনি।

২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করেন মাহমুদুল্লাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম শতকের পর পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ওডিআইতে মাহমুদুল্লাহর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সেটি।

অন্যদিকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ৬৪ (অপরাজিত) রানের ইনিংস রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। আর টেস্টে সর্বোচ্চ ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ দলের এই অলরাউন্ডার ৩৩ টেস্টে ১ হাজার ৮০৯ রান; ১৪৫ ওয়ানডেতে ৩ হাজার ১৫৫ রান এবং ৫৮ টি-টোয়েন্টিতে ৮১০ রান করতে সক্ষম হন। অন্যদিকে বল হাতে টেস্টে ৩৯ উইকেট; ওডিআইতে ৭০ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ২২ উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।