আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর মুসলিম নারীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক বেড়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র বক্তব্যের কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ইসলাম অবমাননাসহ মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হামলার ঘটনা বেড়েছে। উগ্রনীতিতে বিশ্বাসী ট্রাম্পের বিজয়ের পর ক্ষমতা বুঝে না পাবার আগেই যেভাবে মুসলমান বিশেষ করে মুসলিম নারীদের ওপর নির্যাতন চলছে তা খুবই ভয়াবহ এবং দু:খজনক।
মুসলিম নারীদের শালীন পোশাক এবং হিজাব দেখেই তাদের চেনা যায়। সেজন্য তারা শারীরিকভাবেও বিভিন্নরকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই নির্যাতন স্বাভাবিকভাবেই মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলে যার প্রতিফলন পুরো মুসলিম নারী সমাজের ওপর পড়ে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত সাতশ বার মুসলিম বিরোধী বিভিন্নরকমের হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুসলিম নারীদের বিরাট একটি অংশ আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ নিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছে। কেবল ট্রাম্পের ইসলাম বিদ্বেষী অবস্থানের পাশাপাশি আমেরিকায় মুসলমান বিরোধী প্রচারণাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর কারণ হলো আমেরিকা ও ইউরোপে সন্ত্রাসী ঘটনা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব। আমেরিকার জনগণ মুসলমানদের সম্পর্কে, ইসলাম সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখে না। সে কারণে শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের সঙ্গে তাদের তেমন কোনো অর্থবহ সংযোগও গড়ে ওঠে নি।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৮৩ শতাংশ নালী আমেরিকাতে বর্নবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন। আর ৫৭ শতাংশ মুসলমানরা মনে করেন শেষ বছরগুলোতে আমেরিকায় মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও বিদ্বেষ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করে আমেরিকার বর্তমান অবস্থা মোটেও সন্তোষজনক নয়। আর ৭৪ শতাংশ মনে করে ট্রাম্প মুসলমানদের সাথে মোটেও বন্ধুন্তসূলভ আচরণ করছে না।
পরিসংখ্যানটি ২৩ জানুয়ারি থেকে ২ মে পর্যন্ত পরিচালনা করা হয় এবং তাতে অংশগ্রহণ করেন আমেরিকার ১০০০ মুসলমান নাগরিক।