যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া শুরুর আগে ‘নির্মম হামলা’ চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কোরিয়া উপদ্বীপে ২১ অগাস্ট সোমবার থেকে ১০ দিনের এ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে ওয়াশিংটন ও সিউল।
এ মহড়াকে বেপরোয়া আচরণ আখ্যা দিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, “তাদের এ আচরণ কোরিয়া উপদ্বীপ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণহীন পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
একইসঙ্গে পিয়ংইয়ং ঘোষণা দিয়ে বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী যে কোনও সময় যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার লক্ষ্য বানাতে পারে। আর তখন তাদের এ নির্মম হামলা গুয়াম, হা্ওয়াই এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রও এড়াতে পারবে না।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পত্রিকা রডং সিনমুন এর বরাত দিয়ে রোববার সিএনএন এ খবর দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জুলাইয়ে দুইটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্র ওই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া অগাস্টের মাঝামাঝিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কথা জানায়।
চরম এ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিকল্পনা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
রডং সিনমুনের প্রতিবেদনে বলা হয়, “উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের দলের বেপরোয়া পরমাণু যুদ্ধের মহড়ার ঘোষণা…বেপরোয়া এই আচরণ পরিস্থিতিকে অনিয়ন্ত্রিত পরমাণু যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস উভয়ই গত সপ্তাহে যথা সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
দুই দেশের বার্ষিক এ সামরিক মহড়াকে পিয়ংইয়ংয়ে আগ্রাসনের অনুশীলন হিসাবেই দেখে আসছে উত্তর কোরিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই এ মহড়া পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক বলে দাবি করে আসছে।