উড়োজাহাজে পাইলট না থাকলে বিমান চলাচলশিল্পে বছরে সাড়ে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ইউবিএস নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। এয়ারলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য এটা ব্যাপক লাভজনক ব্যাপার হবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা হলো, কেউ কি চালকবিহীন ফ্লাইটের টিকিট কিনবেন?
ইউবিএসের একই প্রতিবেদনে প্রশ্নটার জবাব নিয়ে ইঙ্গিত আছে। ভ্রমণকারীদের মাত্র ১৭ শতাংশ এক জরিপে বলেছেন, তাঁরা পাইলটবিহীন বিমানে চড়তে আগ্রহী।
দূরনিয়ন্ত্রিত বা চালকবিহীন উড়োজাহাজের প্রযুক্তি ২০২৫ সালে হাতের নাগালে আসতে পারে। এই প্রযুক্তির আরও অগ্রগতির ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে হয়তো স্বয়ংক্রিয় আকাশযান বাণিজ্যিক পর্যায়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে দেবে। এখনই তো অনেক ফ্লাইট উড়োজাহাজের ভেতরে বসানো কম্পিউটারের সাহায্যে অবতরণ করে। সেই হিসেবে পাইলটরা নিজে হাতে বিমান চালান গড়ে মাত্র কয়েক মিনিট। কিন্তু লোকজন মনে করে, উড়োজাহাজ নিজে উড়তে পারে না—এমনকি স্বয়ংক্রিয় অবস্থায় থাকলেও। পাইলটরাই সারাক্ষণ বিমান চলাচল এবং দিকনির্ণয়ের ব্যাপারগুলো শুরু থেকে শেষ অবধি দেখভাল করে থাকেন।
ইউবিএসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী চালকবিহীন বিমান পুরোদমে চালু হতে আরও বহু বছর লাগতে পারে। প্রথমে হয়তো পণ্যবাহী উড়োজাহাজগুলোর ওপর এ ধরনের প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে পাইলটের সংখ্যা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
উড়োজাহাজ পরিচালক কোম্পানিগুলো প্রতিটি বিমানের জন্য গড়ে ১০ জন পাইলট নিয়োগ দেয়। কাজেই নতুন প্রযুক্তি কার্যকর হলে কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য কারণে খরচ লাগবে না। পাইলটের অভাব তখন আর এতটা বেশি অনুভূত হবে না।