Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুনিয়া কাঁপানো পাঁচটি ইসলামী চলচ্চিত্র

islamic-movieযুগে যুগে অনেক মুসলিম জনগোষ্ঠি ইসলামিক বিভিন্ন থিমকে সামনে রেখে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে এবং কালের পরিক্রমায় বেশ কিছু ইসলামী চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চলচ্চিত্র নিয়ে করা একটি জরিপে এমন পাঁচটি ইসলামী চলচ্চিত্রের নাম উঠে এসেছে যার প্রত্যেকটি দুনিয়াতে ঝড় তুলেছে এবং দর্শক ও বোদ্ধা মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। চুলন আমরা এবার দুনিয়া কাঁপানো সেই পাঁচটি ইসলামী চলচ্চিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জানি…

১) মুজ-লিম (mooz-lum): মুজ-লিম একটি বিখ্যাত ইসলামী চলচ্চিত্র। ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি লাভ করে। মুভিটির কাহিনি লিখেছেন কাসিম কিউ বাসীর এবং পরিচালনাও করেছেন তিনি। এতে অভিনয় করেছেন ড্যানি গ্লওভার ( Danny Glover) সহ আরো অনেক বিখ্যাত শিল্পরা। সিনেমাটিতে মূলত ৯/১১-এর হামলার পূর্ব ও পরবর্তী একটি আফ্রিকান আমেরিকান মুসলিম পরিবারের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চলচ্চিত্রটিকে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করা হয় এবং এতেই বিশ্বময় সাড়া উঠে। পারবর্তীতে বিশ্বময় উন্মুক্ত করা হয় ছবিটি। এটি পিস ফ্লিমের একটি নিজস্ব পণ্য। বিশ্বের বাঘা বাঘা সমালোচকদের থেকে মুজ-লুম ৭৮% সামগ্রিক রেটিং লাভ করেছে।

chardike-ad

২) আমেরিকান শরিয়াহ (american sharia): বিশ্বব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি ইসলামী চলচ্চিত্র- আমেরিকান শরিয়াহ। এটি মূলত আমেরিকান বডি পপ কমেডি নাটক বা অ্যাকশন ফ্লিম। মুভিটির কাহিনি লিখেছেন ওমর রেগান এবং পরিচালনাও করেছেন তিনি। এছাড়া ছবিটিতে ওমর রেগানসহ বাব আলী ও এরি রবার্টস অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটিতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তার ক্ষমতার বিকাশের জন্য ইসলামোফোবিয়া ব্যবহারের নানাদিক তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া মুসলিমদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দুইজন মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডও উঠে এসেছে। কোনি ইয়ং মিকাহ ব্র্যান্ডে একটি নিজস্ব পণ্য এই মুভি।

৩) জার্নি টু মক্কা (journey to mecca): এটি মূলত ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সহ-প্রযোজিত এবং এসকে ফিল্মস প্রযোজিত একটি প্রামাণ্যচিত্র। এই মুভিটিতে বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতার ১৩২৫ সালে নিজ দেশ থেকে পবিত্র হজের উদ্দেশ্যে মক্কা ভ্রমণের সত্য জীবনীতথ্য ঘটনায় রুপায়িত হয়েছে। খ্যাতিমান ধারাবর্ণনাকারী ও অভিনেতা বেন কিংসলির ধারাবর্ণনায় এবং মরোক্কো বংশোদ্ভুত নবাগত অভিনেতা চেমস এডিন জিনুনের অভিনয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি আরো সমৃদ্ধতা লাভ করেছে। ইবনে বতুতার স্বরচিত গ্রন্থ রিহিলার বর্ণনা অনুসরণে মক্কার উদ্দেশ্যে তার ভ্রমণ এবং ভ্রমণপথের প্রথম আঠারোমাসের ঘটনাবলিই মূলত এই মুভিটিতে প্রদর্শন করা হয়েছে। যার মাঝে তৎকালীন পালিত হজের বেশ কিছু দৃশ্য ফুটে উঠেছে। ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। মুভিটি পরিচালনা করেছেন ব্রুস নেইবর।

৪) দ্য ম্যাসেঞ্জার (the message): মুহাম্মদ- মেসেঞ্জার অব গড। দুনিয়া কাপাঁনো একটি ইসলামী চলচ্চিত্র। এটি মূলত ইসলামের সর্বশেষ নবী মোহাম্মদ (স.) -এর জীবন বৃত্তান্ত সংবলিত একটি চলচ্চিত্র। ১৯৭৬ সালের ৯ মার্চ মুক্তি পেয়েছে মুভিটি। পরিচালনা করেছেন মোস্তফা আক্কাদ এবং চিত্রনাট্য করেছেন এইচ.এ.এল. ক্রেইজ। এছাড়া প্রযোজনা করেছেন মোস্তফা আক্কাদ। আর অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি কুইন, আইরিন পাপেস, মাইকেল অ্যানসারা প্রমুখ। আরবী ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই মুক্তি পেয়েছে। দি মেসেজ চলচ্চিত্রটিতে মূলত ইসলামের প্রাথমিক সময়ের কাহিনী উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রটিতে শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) -এর মাধ্যমে মক্কায় ইসলামের সূচনার বিষয়টিকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। ইসলামী মৌলিকতার উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটিতে নবী করীম মুহাম্মদকে (সা.) দেখানো হয় নি, তার কণ্ঠেরও অনুকরণ করা হয় নি। তার স্ত্রী, সন্তান ও খলিফাদের ক্ষেত্রেও এই একই মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে।

৫) কিংডম অব হ্যাভেন (kingdom of heaven): ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ঐতিহাসিক অ্যাকশনমূলক ইসলামী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন উইলিয়াম মোনাহান এবং পরিচালনা করেছেন রিডলি স্কট। ১২শ শতকের ক্রুসেড যুদ্ধের পটভূমিতে ছবিটির কাহিনী নির্মিত হয়েছে। সুলতান সালাউদ্দিন আয়ুবীর বিরুদ্ধে যখন বালিয়ান নামক ফরাসি এক রাজপুত্র জেরুজালেমের প্রতিরক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন, যিনি খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের কাছ থেকে জেরুজালেমকে পুনুরুদ্ধার করতে হাত্তিনের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তৎকালীন ইবেলিন সম্রাজ্যের সম্রাটের কনিষ্ঠ পুত্র বালিয়ানের জীবনকে ব্যাপকাকারে কাল্পনিক চিত্রায়নের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। মুভিটি লন্ডন প্রিমিয়ারে ২ মে ২০০৫ সালে, জার্মানিতে ৫ মে ২০০৫ সালে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ৬ মে ২০০৫ সালে একই সাথে মুক্তি লাভ করে। ছবিটির পরিবেশক টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স।

সূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইউটিউব