হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো বিমানযাত্রী। শুক্রবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে আগুন লাগে। এ সময় ফ্লাইট উড্ডয়ন সাময়িক স্থগিত করে সিভিল এভিয়েশন। দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিমানবন্দরের ভেতরে ধোঁয়া থাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এজন্য বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিমানযাত্রীরা।
কয়েকজন বিমানযাত্রী জানিয়েছেন, কখন তাদের বিমান ছাড়বে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। গন্তব্যে সঠিক সময়ে বা তার কাছাকাছি সময়ে পৌঁছাতে পারবেন কি না তা নিয়ে অশ্চিয়তায় রয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা বলেন, অনেকে ঢাকার বাইরে থেকে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে এসেছেন। এখন ফ্লাইটের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে।
হজযাত্রী আসলাম উদ্দীন বলেন, ভেতরে গিয়ে প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পাই। ভেবেছিলাম, তেমন কিছু না। পরে দেখলাম বড় অগ্নিকা্ণ্ড। সবাই ছোটাছুটি শুরু করল। অন্যদের সঙ্গে আমিও বের হয়ে আসি। এখন ফ্লাইটের কী অবস্থা জানি না। কখন ছাড়বে তাও বুঝতে পারছি না।
সাইদুল ইসলাম নামের যাত্রী এসেছেন নেত্রকোনা থেকে। তিনি মালয়েশিয়া যাবেন। বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জানেন না, কখন ফ্লাইট হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় জার্নি করে এসেছি। এখন এয়ারপোর্টে বসে থাকতে হচ্ছে। একটু বোর হচ্ছি।’
শুক্রবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল এভিয়েশন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সংস্থাটির উপ-পরিচালক (ঢাকা) দেবাশিষ বর্ধন, সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মামুন মাহমুদ ও কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান।