Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় ক্রমেই অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশিদের অবস্থানের

malaysia-bangladeshiঅবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য বিপুল ধরপাকড়ের যে অভিযান চলছে তাতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশীরা। গত জুলাই মাস থেকে অভিযানে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকারীদের মাঝে সব থেকে বেশি সংখ্যক হল বাংলাদেশী।

এছাড়া কিছু আলোচিত বিচ্ছিন ঘটনায় বাংলাদেশীদের জড়িত থাকার কারনে সামাজিক মাধ্যমে কঠোর সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার নাগরিক সমাজ।

chardike-ad

গত ১৪ই অগাস্ট, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট দুজন বাংলাদেশীকে জাল পাসপোর্ট, ভিসা, ই কার্ড এবং আই কার্ড সরবরাহ করার অপরাধে গ্রেপ্তার করেন। “প্রফেসর” নামক এই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে উঠে আসে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিটি জাল পাসপোর্ট তৈরিতে ৪০০০ রিঙ্গিত (৭০,০০০ টাকা) পর্যন্ত নেওয়া হত। ইমিগ্রেশন পুলিশ জাল ডকুমেন্ট তৈরির এপার্টমেন্ট থেকে সরঞ্জামাদি জব্দ করেন ।

গতকাল ২০ অগাস্ট, ইমিগ্রেশন অফিসারদের অভিযানকালে বাংলাদেশীদের হামলায় দুই ইমিগ্রেশন অফিসার আহন হন। ইমিগ্রেশন অফিসারের আগমনে টের পেয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী লোহার রড, কাঠ এবং পাথর দিয়ে আঘাত করেন। পরে ৩০ জন আর্মি পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রাখে এবং সন্দেহভাজন ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন। নাগরিক সূত্রে এরা সবাই বাংলাদেশী। ইমিগ্রেশন পুলিশ আশংকা করছেন এরা সবাই “প্রফেসর” সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সংবাদ প্রকাশ করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন স্তরের মালয়েশিয়ান নাগরিকেরা। অনেকে জরুরি গ্রেপ্তার এবং বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরত যাবার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে অস্থিথিতিশিল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশী রেজাউর রহমান জানান, আমি কোম্পানি রেজিস্ট্রেশান করার জন্য অনেক মালয়দের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু কেউই অংশীদার হতে চাইছেন না। সবাই বাংলাদেশীদের সাথে ব্যবসা করতে ভয় পাচ্ছেন। সময়টা আমাদের জন্য অনেক খারাপ যাচ্ছে।

অনেকে আশা করছেন মালয়েশিয়ার আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এ অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে।