Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আয়োজন করে ৩৩ হাজার টন গম চুরি

gom-churiরীতিমতো আয়োজন করে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন গম চুরি করা হয়েছে। ৫ হাজার ৯২টি ট্রাকে করে এই গম বন্দরের গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। চট্টগ্রামেরই কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে এই গম বিক্রিও করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমা কোম্পানি এই চুরির সুরাহা করতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে।

কেনার সময় ওই গমের দর ধরা হয়েছিল প্রতি টন ৩৪৬ দশমিক ৩৫ ডলার (২৭ হাজার ৭০৮ টাকা)। এ হিসাবে চুরি যাওয়া গমের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এই গম আমদানি হয়েছিল খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য। কিন্তু তা সরকারি খাদ্যগুদামে সরবরাহের আগেই চুরি হয়ে যায়।

chardike-ad

মূলত গম খালাসের দায়িত্বে থাকা শিপিং এজেন্ট ও গুদামের মালিক তা অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে গম চুরির এই বিশাল আয়োজনের সঙ্গে এক যুবলীগ নেতা ও সরকার-সমর্থক একাধিক ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছেন বলে একাধিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তারপরও গম চুরির ঘটনার কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

গম সরবরাহকারী দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান সামজিন লিমিটেড তিন বছর ধরে ওই চুরি হওয়া গমের হদিস করছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তারা এ নিয়ে ধরনা দিয়েও কোনো কূলকিনারা পায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) থেকে এ নিয়ে তদন্ত হয়েছে। সবার তদন্তেই গম চুরির ঘটনায় শিপিং এজেন্ট ও গুদামের মালিকপক্ষের সাতজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে।

এ ছাড়া গম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের এদেশীয় এজেন্টের করা মামলায় গম চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দুজন জামিনে রয়েছেন। বাকিরা পুলিশের খাতায় পলাতক, কিন্তু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা সক্রিয় এবং বিলাসী জীবনযাপনের ছবিও প্রকাশ করছেন।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা শুনে দেশ নিয়ে উৎকণ্ঠা বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে দেশটা প্রতারকদের রাজত্ব হয়ে গেল কি না। এ ধরনের জোচ্চুরির ঘটনার দায় শেষ পর্যন্ত দেশের জনগণকে বইতে হবে।

মামলার সাত আসামির মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে গত তিন বছরে খাদ্য বিষয়ে আরও দুটি অনিয়ম ও চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। সরকার-সমর্থক ব্যবসায়ী ও নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তুলেছেন এই গম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষ এজেন্ট আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে ওই গম কেলেঙ্কারির সুরাহা না হওয়ায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের দায় নেই?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের জন্য ওই গম আমদানি হলেও আইনি জটিলতার কারণে সরবরাহকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারকে তা সরবরাহ করতে পারেনি। তাদের জিম্মায় থাকা অবস্থায় ওই গমের কী হয়েছে, তা আমরা বলতে পারব না। কোরীয় দূতাবাস থেকেও এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিল। যেহেতু তারা আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গম দিতে পারেনি, তাই এর দায়দায়িত্ব আমাদের না।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় এভাবে দায় এড়ালেও ওই গম চুরির সময় মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর নিশ্চুপ থেকে পরোক্ষভাবে আত্মসাৎকারীদের সহায়তা করেছে বলেও আমদানিকারকের বিশেষ এজেন্ট আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, গুদামে এই গম সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের যৌথ তদারকিতে থাকার কথা। তাহলে গুদাম থেকে গম সরিয়ে ফেলা কী করে সম্ভব হলো?

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি সামজিন লিমিটেডের মাধ্যমে আমদানি হওয়া গম চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের কিছু বিধিনিষেধ ছিল। আমদানিকারকের জিম্মায় ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (খাদ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টম) তদারকিতে তা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বন্দর এলাকার গুদাম থেকে ওই গম পাঁচ হাজারের বেশি ট্রাকে করে পাচার হয়ে গেলেও সরকারি কোনো সংস্থা তা থামাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং পাচার হওয়ার পর খাদ্য অধিদপ্তর থেকে রপ্তানিকারককে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, শর্ত ভঙ্গের কারণে আর ওই গম তারা নেবে না।

ওই গম আমদানির সময় খাদ্য অধিদপ্তরের ক্রয় বিভাগের ‘চলাচল ও সাইলো’ বিভাগের পরিচালক ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন। গমের যৌথ তদারকির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। গম চুরির ঘটনায় তাঁর বিভাগ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।

৩৩ হাজার টন গমের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, জানতে চাইলে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এত আগের ঘটনা আমার মনে নেই। আমি এখন অবসরে আছি।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও দায় এড়িয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে ওই গম খালাস হয়েছিল। সেখান থেকে রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি নিয়ে কোন গুদামে রেখেছে বা কী হয়েছে, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী
তিন বছর ধরে ওই চুরির ঘটনার কূলকিনারা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই গমের আন্তর্জাতিক শিপিং এজেন্ট দাইয়ু করপোরেশনের দক্ষিণ কোরীয় বিমা কোম্পানি মেরিটস ফায়ার অ্যান্ড মেরিন ইনস্যুরেন্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। গত ২০ জুন হাইকোর্টের বিদেশি লেনদেন নিষ্পত্তি বিভাগে (অ্যাডমিরালটি বিভাগ) মামলা করা হয়। এ ছাড়া ২ আগস্ট চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর হাকিমের আদালতেও সাতজনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়।

এই দুই মামলার আসামিদের একজন ওই গমের প্রথম ক্রেতা রোকেয়া ফ্লাওয়ার মিলসের মালিক সাইফুল ইসলাম। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বণিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি। এ ছাড়া ওই গম আমদানির শিপিং এজেন্ট জে কে শিপিংয়ের চারজন কর্মকর্তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। তাঁদের একজন শিপিং কোম্পানির কর্মকর্তা ও খুলনা যুবলীগের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শওকত হোসেন।

এ ছাড়া জে কে শিপিংয়ের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও প্রধান নির্বাহী কামরুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালামকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন ওই গম গুদামজাত করার দায়িত্বে থাকা আবদুল মালেক মাঝি ও জাহাজের এজেন্ট আক্তারুজ্জামান খান।

আগের দুই দফা তদন্ত
ওই গম চুরির ঘটনায় দুদকের তদন্তের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আরও অধিকতর তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছিল। দুই দফা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করার পর বর্তমানে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির পরিদর্শক লিটন দেওয়ানকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মামলার বেশির ভাগ আসামি পলাতক। ফলে তাঁদের কাছ থেকে কোনো জবানবন্দি ও তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

যদিও ওই গম আত্মসাতের ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে পলাতক হিসেবে চিহ্নিত তিনজন ও জামিনে থাকা দুজনের কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও মালেক মাঝি আরও দুটি জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন।

যুবলীগ নেতা শওকত এবং জে কে শিপিং
গম চুরির অভিযোগে জে কে শিপিংয়ের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলা করেছিলেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের এদেশীয় বিশেষ এজেন্ট আবদুল আজিজ। মামলায় জে কে শিপিংয়ের মালিক নুরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও তাঁরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য জে কে শিপিংয়ের পক্ষ থেকে খুলনা যুবলীগের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শওকত হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দাইয়ুর বিমা কোম্পানির করা মামলায় বলা হয়েছে, শওকত হোসেন ওই গমের একটি অংশ বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শওকত হোসেন বলেন, ‘আমি জে কে শিপিংয়ের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছি। ওই গম মেরে দিয়ে যারা বড়লোক হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমাকে কেন খামাখা ঘাঁটাতে আসেন।’

পলাতকের বিলাসী জীবন
গম চুরির ঘটনার আসামি অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান খান ও কামরুল ইসলামকে আটকের জন্য সংশ্লিষ্ট সব থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা পলাতক। একইভাবে এই দুজনের পাসপোর্ট নম্বর ও ফটোকপি দিয়ে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারছে না।

কিন্তু আক্তারুজ্জামান খানের ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে দেখা গেছে, তিনি বিদেশের বড় বড় ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার জায়গা) নিয়মিত যাতায়াতের ছবি তাঁদের ফেসবুকে প্রকাশ করছেন।

কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গম বন্দরে আনা তাঁর দায়িত্ব ছিল। এরপর তা আক্তারুজ্জামান খালাস করে গুদামে নিয়ে যান। আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরে আবার কেটে দেন।

সাইফুল ইসলামের ধারাবাহিক গমকাণ্ড
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সম্প্রতি হওয়া দুটি মামলার এজাহারে ৩৩ হাজার টন গমের প্রধান ক্রেতা হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি সাইফুল ইসলামের নাম এসেছে। ওই গম তিনি পরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাঁচজন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। ওই গম যাঁরা কিনেছেন, তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুব আলমও রয়েছেন।

মাহবুবুল আলম দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক বিখ্যাত পরিবারের সদস্য। আমি আইন মেনে ওই গম কিনেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই মামলা দেওয়া হয়েছে।’

এর আগেও ২০১১ সালের এপ্রিলে খাদ্য অধিদপ্তরের গুদাম থেকে গম পাচারের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১২ সালের জুনে খাদ্য অধিদপ্তরকে নিম্নমানের গম সরবরাহের অভিযোগ ওঠে তাঁরই প্রতিষ্ঠান রোকেয়া ফ্লাওয়ারের বিরুদ্ধে।

মালেক মাঝির ধারাবাহিক চুরি
২০১৪ সালের নভেম্বরে আসা ওই গম আবদুল মালেক মাঝির তত্ত্বাবধানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার সাতটি সরকারি-বেসরকারি গুদামে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তা চুরি করা হয়।

গত জুলাই মাসে চট্টগ্রামের হালিশহরের খাদ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম থেকে চাল পাচারের ঘটনায়ও মালেক মাঝিকে আসামি করা হয়। এর আগেও সরকারি ও বেসরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চাল পাচারের ঘটনায় মালেক মাঝির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মালেক মাঝি বলেন, ‘কেউ যদি আমার গুদামে মাল রাখে, তাহলে আমি কীভাবে দোষী হব। আর আমি কোনো রাজনৈতিক দল করি না। আমার কাছে যেকোনো ব্যক্তি ও গরিব মানুষ সাহায্যের জন্য এলে আমি মানা করি না।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মহা আয়োজনের এই গম চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী বলেই কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র: প্রথম আলো