Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চ্যালেঞ্জ নিতে চান মুশফিক

mushfiqurদক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বলে গিয়েছিলেন, সিরিজটা কঠিনই হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট যেখানে গতিময় এবং বাউন্সি হয়ে থাকে। এ কারণে স্বাগতিক পেসারদের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে হবে- এটা জেনে-বুঝেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলতে গিয়েছে মুশফিকুর রহীম অ্যান্ড কোং।

আগামীকালই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে বাংলাদেশ। বেনোনির উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেই হয়তো বোঝা যাবে, এই সফরে বাংলাদেশ কেমন করবে।

chardike-ad

তার আগে আজ অনুশীলনের সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। শুরুতেই প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাকিব আল হাসানের কথা। তার শূন্যস্থান পূরণযোগ্য কি না? মুশফিক সরারসি বলে দিলেন, ‘সাকিবের স্থান কেউ পূরণ করার মত নয়। তিনি একজনই। অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই তাকে খুব মিস করবো।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসারদে স্বর্গ। এখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য অপেক্ষা করে কঠিক এক পরীক্ষা। তার ওপর বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগের সফরে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো নয়। এ বিষয়টা কিভাবে দেখছেন মুশফিক?

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানকার পরিবেশই পেসারদের অনুকুলে। এটা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয়। তারওপর, আমরা দেশ হিসেবে বিদেশে খুব কম টেস্ট খেলেছি। বিদেশের মাটিতে ভালো করতে না পারার এটাও একটা কারণ। তবে গত দুই থেকে আড়াই বছর- আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। বিদেশের মাটিতেও ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছি। দলের কয়েকজন ক্রিকেটার খুব ভালো খেলছে। অভিজ্ঞ যারা রয়েছে- যেমন তামিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির, সৌম্য, মুমিনুল, সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করছে। ব্যক্তিগতভাবে তারা উন্নতি করছে এবং আশা করি তারা সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেললে আমরা ভালো করতে পারবো।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় কেমন করবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের এই দলটি এখন রয়েছে খুব ভালো অবস্থায়। সিনিয়র এবং জুনিয়র কম্বিনেশনটাও দারুণ। সবাই নিজের দায়িত্বটা খুব ভালো করেই বোঝে। ঘরের মাঠে তারা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। তবে বিদেশের মাটিতে আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবুও আমরা এই বছর বিদেশের মাটিতে বেশ কয়েকটি টেস্ট খেলেছি। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় একটি ম্যাচ জিতেছিও। এসবই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ওইগুলো ছিল ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে। তবে এখানকার কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। এখানে আমাদের অভিজ্ঞতা কম। তবে আশা করি ভালো খেলতে পারবো। এ কারণে আমরা এই চ্যালঞ্জটা নিতে চাই। দলের দু’একজন খেলোয়াড় যেমন আমি নিজেও, ৯ বছর আগে এখানে খেলে গিয়েছি। আমাদের কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা আছে।’