Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশে চালের রেকর্ড মূল্য: দাম কমানোর আশ্বাস ব্যবসায়ীদের

riceবাংলাদেশের বাজারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চালের মূল্য। রাজধানীর বাজারে মোটা চালের খুচরা দর উঠেছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৮ টাকায় উঠেছে। উন্নত মানের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে। চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নআয়ের মানুষের।

এ অবস্থায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে তারা সরকারের কাছে চাল আমদানি ও পরিবহনে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার এবং স্থলবন্দর দিয়ে চালবাহী ট্রাকগুলো দ্রুত পরিবহনে সহায়তা দাবি জানিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

chardike-ad

সরকারের তরফ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান অর্থ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দেশের চালকল মালিকদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করেন-এমন কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে চালের কোনো সংকট নেই; ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছেন। সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে চাল সংকটের জন্য সরকারি নীতির সমন্বয়হীনতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতাকে দায়ী করেন।

দিনাজপুরের জহুর অটো রাইস মিলের মালিক আবদুল হান্নান নিজেকে সরকার দলীয় সমর্থক পরিচয় দিয়ে বলেন, ফসলহানির কারণে সরকারি গুদামে সরবরাহ কম হয়েছে। চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে এবং চালের আমদানি শুল্ক কমাতে দেরি করা হয়েছে। ধাপে ধাপে কমানো হয়েছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।

এর পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের চালের দাম কমানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার নিজেও আমদানি করে মজুত বাড়াচ্ছে। ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আগামীকাল থেকে সারা দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) কর্মসূচি চালু করছি।’

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিল মালিকদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেই চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবে সরকার। সভায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটা আমাদের। আমরা আপনাদের, আপনারা আমাদের। আসুন আমরা হাতে হাত মিলিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেন, “কাল থেকে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা করে কমে যাবে।”