Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১১ জনকে বিয়ে করে সর্বস্ব লুট, অবশেষে আটক তরুণী

thailand-newsপরপর ১১ বরকে ঠকিয়েছেন এক তরুণী। অবশেষে ১২তম বরের কাছে ধরা পড়লেন তিনি। তার কাজই প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে ফুলসজ্জার রাতে স্বামীর সর্বস্ব লুট করে গায়েব হয়ে যাওয়া। আর এই কাজে তরুণীকে সাহায্য করেছেন তার আসল স্বামী! ১১তম ঘটনার পর থাইল্যান্ডের ওই তরুণী আসল স্বামীসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। প্রতারিত হয়ে এবং টাকা খুইয়ে একে একে ওই ১১ স্বামীই পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর: দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের।

আলাদা আলাদা অভিযোগে তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে একটি বা দুটি নয়, ১১ জনকে একইভাবে বোকা বানিয়েছেন তরুণী। ফেসবুক অনুযায়ী যার নাম জারিয়াপর্ন নামন বুয়াই। তার আসল স্বামীর নাম থিতিরাট নঙ্ঘাপিটকও।

chardike-ad

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গেই এই সমস্ত কাণ্ডের ছক কষতেন জারিয়াপর্ন। তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ উদ্ধার হয়েছে। থাইল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের টার্গেট বেছে নিত ওই প্রতারক দম্পত্তি। প্রথমে অচেনা কোনো যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব করতেন ওই তরুণী। মাস গড়াতে না গড়াতেই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। ফাঁদে পা দিলেই আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হতেন ওই তরুণী।

ঠিক যেমন হয়েছিল প্রাসার্ন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। প্রাসার্নের সঙ্গে একটি রিসোর্টে দেখা করেন ওই তরুণী। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর কয়েক মাস পর প্রাসার্নকে ওই তরুণী জানান যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। বিয়েতে রাজিও হয়ে যান প্রাসার্ন। বিয়ের জন্য ওই তরুণীকে ৬ হাজার ডলার পণ দেন প্রাসার্ন। বিয়ের সময় কনেকে পণ দেওয়াটাই রীতি থাইল্যান্ডের।

প্রাসার্নের অভিযোগ, বিয়ের দুই দিন পর তরুণী জানান, তিনি পারিবারিক ব্যবসায় সাহায্যের জন্য নিজের গ্রামে যেতে চান। তারপর আর ফেরেননি। ঠিক এভাবেই বাকি যুবকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, বিয়ে এবং তার কয়েক দিনের মধ্যে অন্য কোনো অজুহাতে বিয়েতে দেওয়া পণ নিয়ে ফের বেপাত্তা। এভাবে গত দুই বছরে মোট ১১ জনকে ঠকিয়েছেন জারিয়াপর্ন। কারো থেকে ৬ হাজার ডলার পণ নেন তো কারো থেকে ৩০ হাজার ডলার। ওই ১১ জন ছাড়াও ওই তরুণী আর কাউকে প্রতারণা করেছেন কি না তা খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।