Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এই স্কুলগার্ল এখন সেলিব্রেটি!

wasimফুটফুটে কাশ্মীরি এক মেয়ে। হাজার হাজার জনকে পিছনে ফেলে অডিশন দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন আমির খানের সুপারহিট ছবি ‘দঙ্গল’-এর একটি চরিত্র। প্রথম ছবিতেই ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ভারতের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। ‘দঙ্গল’-এর সেই জাইরা ওয়াসিম ফিরছেন আবারও। ফিরছেন আমির খানের আরেক সম্ভাবণাময় ছবি ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এ গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। পাশে রয়েছেন মেন্টর আমির খান। একটা ছবি করেই জাইরা এখন বলিউডের সেলিব্রটিদের একজন।

‘সিক্রেট সুপারস্টার’এর জাইরা বরোদার মেয়ে ইনসিয়া। বোরখার আড়ালেই মুখ ঢেকে গান গায়। স্বপ্ন দেখে বড় গায়িকা হওয়ার। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে ছবি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ‘দঙ্গল’ ছবিতে ছোট ছোট করে চুল ছেঁটে ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল জাইরার। এ বার সে রকম কিছু প্রস্তুতি আছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এখানে গান ইম্পর্ট্যান্ট। আমি অনেকটা সময় মেঘনা মিশ্রর (যিনি ছবিতে গান গেয়েছেন) সঙ্গে কাটাতাম। দেখতাম ও কী ভাবে গান করছে, কোথায় শ্বাস নিচ্ছে, ছাড়ছে। এটা চাইনি যে ছবিটা দেখে কেউ বলুক, আমি অ্যাক্টিং করছি।’

chardike-ad

প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বিষয়ে জাইরা বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা মানুষের ভালবাসা। আমার কাছে সাফল্য মানে থেমে যাওয়া নয়, এটা একটা অবিরাম স্ট্রাগল আর পদ্ধতি। তাছাড়া আমার অভিনয় আমির স্যারের ভাল লেগেছে। সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ। ছবির শুটিংয়ে আমার হাসি থামতই না! আশা করি, দর্শকও ছবিটা দেখে একই ফিল করেছেন।’

এবারই মাধ্যমিক পাস করেছিলেন জাইরা। মার্কস পেয়েছে ৯২%। প়়ড়াশোনা কি তাহলে অভিনয় বিষয়েই করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দুটো ছবিতে যে মেথডে কাজ করেছি, পরে ছবি করলে সেভাবেই চেষ্টা করব। পড়াশোনা করলে আমার শেখার পদ্ধতিটাই পাল্টে যাবে। তাই অ্যাক্টিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই না।

সাধারণ স্কুলগার্ল সেলিব্রিটি হওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে জাইরা বলেন, ‘অভিনয়ের শুরতেই যে ভয়টা কাজ করতো সেটা এখনও আছে। আর মনে হয়, সমস্ত অভিনেতারই ভাল অভিনয় না করতে পারার ভয় থাকে। ‘দঙ্গল’-এ দেখতাম, সকলে দারুণ অভিনয় করছে। আমার মনে হতো, আমি তার ধারেকাছেও যেতে পারছি না। অভিনয় তো দূর, আমি ভিড় সামলাতেও ভয় পেতাম। এখন একটু কেটেছে। পরে পুরো ভয়টাই কেটে যাবে।’

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, হিজাব-বিতর্কে বারবার টেনে আনা। ১৭ বছরেই এত কিছু! খারাপ লাগে না? উত্তরে জাইরা বলেন, ‘বিতর্ক আমাকে ভাবায়নি। যেটা সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছিল লোকে আমাকে ভুল বুঝেছে। সেটা খারাপ লেগেছিল। তবে এটা একটা ফেজ, যেটা কেটেও গিয়েছে।’