Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এটা কোনো সিনেমার গল্প নয়

sirajgonj-newsসিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায় প্রেমের টানে মা-বাবার ঘর ছেড়ে প্রেমিক সবুজের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন সাবিনা খাতুন সুমি নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। অভিভাবকের অসম্মতি, মেয়েকে গৃহবন্দি, শারীরিক নির্যাতন কোনো কিছুই তাদের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সবার অগোচরে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান প্রেমিকা। বিষয়টি জানাজানি হলে টক দ্য টাউনে পরিণত হয়।

সাবিনা খাতুন সুমি রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র সিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং সলঙ্গা বাজারের শরীফ মেডিকেল হলের (প্যাথলজি) মালিক আলহাজ সাইফুল ইসলামের মেয়ে।

chardike-ad

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের আবু বক্কার মন্ডলের (বাটু) ছেলে সবুজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সাবিনা খাতুন সুমির প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমেই চলছিল তাদের মন দেয়া-নেয়া। তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক জানাজানি হলে মেয়ে পক্ষের লোকজন তা মেনে না নিয়ে মেয়েকে উল্টো শাসন করতেন।

একপর্যায়ে গৃহবন্দিসহ শারীরিকভাবে নির্যাতিত করা হয় ওই মেয়েকে। অবশেষে গত ১১ অক্টোবর বুধবার স্কুল থেকে শিক্ষিকা সাবিনা তার প্রেমিক সবুজের হাত ধরে উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনাটি প্রথম পর্যায়ে চাপা থাকলেও সম্প্রতি ফাঁস হয়ে যায়।

স্কুল শিক্ষিকা সুমির বাবা হাজি সাইফুল ইসলাম ও সুমির ভাই শাহীন আলম বলেন, আমরা তাদের এই বিয়েতে অনেক বাধা দিয়েছি। কিন্তু তারা দুইজন জীবনে একটি চরম ভুল করলো। আর সমাজে আমাদের মান নষ্ট করলো। এখন আমরা কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।

এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষিকা সুমি বলেন, সবুজ আমাকে অনেক আগ থেকেই প্রেমনিবেদন করে আসছিল। আমি অনেক ভেবেচিন্তে তাকে সাড়া দিই। শুরু হয় দেখা সাক্ষাত ও মন দেয়া-নেয়া। এই ঘটনার জন্য আমাকে বাবা-ভাই দীর্ঘদিন ঘরের ভেতরে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছেন। কিন্তু অভিভাকদের অস্মতি থাকায় বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নিয়েছি।

ক্ষুদ্র সিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি সত্য। পরে পারিবারিকভাবেই মীমাংসা হয়েছে বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ ইজদানী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাগো নিউজ