বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে দীর্ঘদিন থেকে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম দুই প্রভাবশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের। যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যান্ড কর্পোরেশন আশঙ্কা করেছে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে প্রাণঘাতি যুদ্ধের ঘটনা ঘটতে পারে।
র্যান্ড কর্পোরেশন বলছে, বিগত কয়েক বছরে এই দুই দেশের নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত যুদ্ধের আশঙ্কাকে ঘনীভূত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে যে কোনো যুদ্ধের চাইতে সেটি হবে অনেক বেশি প্রাণঘাতী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, সামরিক খাতে চীনের উন্নতি ও সংস্কার দেশটিকে শক্তিশালী করে তুলেছে।
বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতেই চীনের যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। উত্তর কোরিয়ায় যদি মার্কিনীদের হামলা হয় তাহলে চীন পিয়ংইয়ংকে রক্ষার জন্য অনিবার্যভাবে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। এছাড়াও দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানও ইস্যুতে চীন আমেরিকা প্রবলভাবে মুখোমুখি।
পরমাণু অস্ত্রে বিশ্বে দ্বিতীয় পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রকেই বলা হয় পরমাণু অস্ত্রের জন্মদাতা। যুক্তরাষ্ট্র সাড়ে ৭ হাজারের বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে পরমাণু অস্ত্রে দ্রুত শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে চীন। বর্তমানে চীনের ২৬০ টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। চীন ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও জল-স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম এমন প্রযুক্তির পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে যাচ্ছে।
তবে এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়ালে কোনও পক্ষই জিতবে না বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। তবে চীন বরাবরই উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী। এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়ালে সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। মানবতার ক্ষতি হবে। ‘