Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই

india-bdভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প থাকবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং ভারত সরকারের পক্ষে এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকিনহা এই ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

chardike-ad

এর মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত, যা তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত ও ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

অনুষ্ঠানে অরুণ জেটলি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রথম বাংলাদেশে এসে আমি আনন্দিত। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে পর্যালোচনা করেছি, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, যা সাম্প্রতিককালে ক্রমবর্ধমান। ভারতের স্বার্থে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

অরুণ জেটলি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে ভারত পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পর্যন্ত এটাই ভারতের কোনো দেশকে দেওয়া সর্বোচ্চ মাত্রার ঋণ। এটি অতি কম সুদের হারে দেওয়া হয়েছে।

এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে। ভারতের অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি। এর আগে দুটি এলওসি আমরা পেয়েছি। এটি তৃতীয় এলওসি। উভয় দেশ পারস্পরিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

উল্লেখ্য, এই ঋণ ভারতের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। এর আগেও এলওসির আওতায় দুইবার ঋণ দিয়েছে ভারত। এটি তৃতীয় ঋণ। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ২০১০ সালে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে প্রথম ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে দু’দেশের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিতীয় ‘ডলার ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে প্রথমটির অর্থে নেয়া ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয়টির ১৪টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।