Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক প্রবেশ সহজ করা উচিত’

malaysia-workerমালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর ভিত্তি দেশের অর্থনৈতিক চাকা দ্রুত উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এই প্রবাসী শ্রমিকদের দেশটিতে প্রবেশ আরও সহজ করা উচিত বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

১১ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক র‌্যাংকিংয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রধান বাধা হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিক প্রবেশে কঠোর নীতির কারণে শ্রম উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

chardike-ad

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের লোকবলের ঘাটতি পূরণ এবং দেশটিতে টেকসই অর্থনীতির চাকা তৈরি করছে। তাদের বিরুদ্ধে যদি অভিবাসন নীতি করা হয়, তাহলে সেটি হবে ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়া, অধিক অর্থ খরচ এবং কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়।

এসব বিষয়গুলো তাদের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশ্বব্যাংক মালয়েশিয়াকে প্রস্তাব করেছে প্রবাসী কর্মীদের জন্য অভিবাসন নীতি তৈরি করলে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে যেতে পারবে এবং পাশ্ববর্তী দেশগুলো তাদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে আসবে। মালয়েশিয়া তাদের দেশকে অনেক উন্নত করেছে। কিন্তু তাদের শ্রমবিষয়ক সুযোগ-সুবিধা অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা কম দক্ষ প্রবাসীদের ওপর তুলনামূলক কাজের অনেক চাপ প্রয়োগ করে।

প্রবাসী আইন প্রসঙ্গে বলা হয়, যারা কর্মীদের নিয়োগ করেছে এবং প্রবেশ করানো থেকে শুরু করে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ সঠিক রাখতে হবে। স্থানীয়রা ব্যর্থ হলে তাদের শাস্তির বিধান রয়েছে। এতে এটা প্রকাশ পায় যে, স্থানীয় কর্মীরা হলো প্রবাসীদের নিয়ন্ত্রক।

প্রবাসীদের মজুরি প্রসঙ্গে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় উৎপাদন খাতে শ্রম উৎপাদনশীলতা কমেছে। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকরা কম মজুরি পেয়েও শ্রম ঘাটতি পূরণ করেছে এবং কঠোর পরিশ্রম করে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে সচল করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০১৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মালয়েশিয়ার রেমিট্যান্স ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবাসীদের থেকে ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মোট ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সবচেয়ে কম সুযোগ-সুবিধার দেশ।