Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রোহিঙ্গা তরুণীদের স্ত্রী সাজিয়ে বিদেশ পাঠানোর সিন্ডিকেট

rohingaটাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা তরুণীদের স্ত্রী সাজিয়ে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। কক্সবাজার কেন্দ্রিক এমনি একটি সিন্ডিকেট শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকার স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করছে রোহিঙ্গা তরুণীদের। শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক দুই সিন্ডিকেট সদস্য পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে।

গত সোমবার রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা তরুণী রামিদা বেগমকে(১৯) আটক করে। একই সময় আটক হয় রামিদার স্বামী পরিচয়দানকারী বাংলাদেশি নাগরিক আল হাকিব আব্দুর রহিম এবং তার সহযোগী আমির হোসেন। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সোমবার মালিন্দো এয়ারের ওডি-১৬১ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল রামিদার।

chardike-ad

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি তারিক আহমেদ আস সাদিক জানান, রামিদার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু জেলার আকিয়াবের বড় গজবিল এলাকায়। এক বছর আগে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ওই তরুণী। এরপর মালয়েশিয়ায় যেতে চারজনের সঙ্গে সে চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রাথমিকভবে ৪০ হাজার টাকা দেয়। তিনি আরও জানান, চার মানবপাচারকারীর ঐ সিন্ডিকেটের সহায়তায় চার মাস আগে সে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে পরিচয়ে ঢাকায় পাসপোর্ট করে। মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর ওই সিন্ডিকেটকে আরও ৭ হাজার রিঙ্গিত (দেড় লাখ টাকা) দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু বিমানবন্দরে তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর সে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে। ওই সময় সঙ্গে থাকা স্বামী পরিচয়দানকারী রহিম ও সহায়তাকারী আমির হোসেনকে আটক করা হয়। তবে মালিন্দো এয়ারে রামিদার সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল রহিমের। রহিমের বাড়ি কক্সবাজারের রামুতে এবং আমির হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রাম শহরের কোতয়ালীর আসাদগঞ্জে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই ফরহাদ আহম্মেদ জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই সিন্ডিকেটের অপর দুই সদস্য ফোরকান এবং জয়নাল আবেদীন বিমানবন্দরে আসলেও পালিয়ে যায়। ফোরকানের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া আর জয়নালের বাড়ি রামু এলাকায়।

তিনি বলেন, রামিদার স্বামী পরিচয়দানকারী রহিম স্বীকার করেছে টাকার বিনিময় সে রোহিঙ্গা তরুণীদেরকে স্ত্রী সাজিয়ে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। আগেও কোনো রোহিঙ্গা তরুণীকে একই প্রক্রিয়ায় পাঠানো হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই ফরহাদ বলেন, রহিম স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এ চক্রটি আগেও স্ত্রী সাজিয়ে রোহিঙ্গা তরুণীদের মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে। কার মাধ্যমে রোহিঙ্গা তরুণীর পাসপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে – এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ইত্তেফাক