Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মাত্র গত বছরই প্রেক্ষাগৃহের ওপর কয়েক দশক চেপে থাকা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে সৌদি আরব। রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসা দেশটি এখন সংস্কৃতি ও বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠার পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে সৌদি আরব। খবর এএফপি।

chardike-ad

২০২০ সালের মধ্যে এ বিনোদন ও অবকাশ কেন্দ্রটি চালু করতে চাইছে সৌদি আরব। এ কাজে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে থাকছেন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র তারকা কেটি হোমস এবং পরিচালক বনে যাওয়া ব্রিটিশ অভিনেতা ইদ্রিস এলবা। সৌদি আরবের সংস্কৃতি নীতির নেতৃত্বে থাকা আহমাদ আল-মাজিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘থিয়েটার, সিনেমা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ একটি সত্যিকারের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলাই’ আমাদের লক্ষ্য।

‘কোয়ালিটি অব লাইফ প্রোগ্রাম-২০২০’ শীর্ষক প্রকল্পটির কেন্দ্রে থাকবে ১৬টি বিনোদন কমপ্লেক্স, একটি জলযান কেন্দ্র এবং তিনটি সুবিশাল অবকাশ কেন্দ্র। সেরা জীবনযাপনের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ১০০ গন্তব্যে নিজেদের কমপক্ষে তিনটি শহরের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই এ পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়েছে সৌদি।

সম্পদশালী তরুণ নাগরিকদের দেশের ভেতরেই অবকাশযাপনে উৎসাহী করাও দেশটির লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ২৫ বছরের নিচে।

সৌদি আরবের বিনোদন নীতি বিভাগের প্রধান আহমাদ খাতিব বলেন, ‘প্রকল্পটি সৌদিবাসীকে সন্তুষ্টি দেবে এবং তারা দেশেই বিনিয়োগ করতে চাইবে।’ তিনি জানিয়েছেন, এ সাংস্কৃতিক বিপ্লবে ৫ হাজার ৯০০ কোটি রিয়াল বিনিয়োগ করবে সৌদি সরকার। গোটা প্রকল্প বেসরকারি ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।