Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে নাটকীয় ২৪ ঘণ্টা

saudi-salmanসৌদি আরবের ৩২ বছর বয়সি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দুই বছর আগে যখন ক্ষমতায় বসেন, তখন অনেকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তার হাত ধরে শিগগিরই আরো পরিবর্তন আসছে। ৪ নভেম্বরের ঘটনা শুধু দ্রুত পরিবর্তনেরই নয়, এ যেন ভূমিকম্পের মতো সব নাড়িয়ে দিল, সৌদি সীমান্ত ছাড়িয়ে যা মধ্যপ্রাচ্যেও অনুভূত হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার এই নাটকীয় ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি শুরু হয় শনিবার দুপুরে, যখন হত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ও নিজ দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি।

chardike-ad

এর কয়েক ঘণ্টা পর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রিয়াদে বিমানবন্দরের কাছে আকাশে ধ্বংস করেছে সৌদি বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের সময়ের বিস্ফোরণের ছবি যেমন মধ্যপ্রাচ্যের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি আসতে থাকে একের পর নাটকীয় খবর। খবর হলো- যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিবিরোধী কমিটি সৌদি আরবের প্রভাবশালী কয়েকজন রাজপুত্র, বর্তমান- প্রাক্তন মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের আটক করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটাপন্ন ইতিহাসে নতুন এক সাংঘর্ষিক সময়ের জন্ম দিল। যার উৎপত্তি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কয়েক বছর ধরে চলা বেনামি যুদ্ধ থেকে। দুই দেশের সংঘাতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রাজনৈতিক শক্তি জোট আবির্ভাবের হুমকি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে কাতারকে একঘরে করে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে সৌদি আরব ও তার ঘনিষ্ট মিত্ররা।

গত শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সবশেষ ঘাঁটির পতন হয় এবং আইএসের খিলাফত ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত বিষয়টিকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আইএসের এই পরাজয়ের পরদিনই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিজ নিজ অ্যাজেন্ডা সামনে আনলো।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক ফাওয়াজ জার্জেস বলেছেন, আমি মনে করি, ‘তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতন মানে সত্যিই তা ভূকৌশলগত সংঘাতের সমাপ্তি নয়।’ তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, তথাকথিত খিলাফতের অবসানের ফরে প্রকৃতপক্ষে ওই অঞ্চলে ইরানের নেতৃত্বাধীন ইরানপন্থি সিরিয়া ও হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদের মধ্যে ভূকৌশলগত সংঘর্ষ নিয়ে উত্তেজনা আরো বেড়ে যাবে।’

তথ্যসূত্র : সিএনএন অনলাইন