বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের ‘কোরিয়ান প্রদর্শনী’ শীর্ষক বাণিজ্য প্রদর্শনী। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার ও গভীর করতে এবং সম্পর্ককে উচ্চ পর্যায়ে নিতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বলেন, “কোরীয় সরকার সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (কেবিসিসিআই) সভাপতি মোস্তফা কামাল, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশে কোরীয় কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ইয়ো ইয়ং-হো। বাংলাদেশের কোরীয় কমিউনিটি এবং কেবিসিসিআই যৌথভাবে এই পদর্শনীর আয়োজন করেছে।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, “আপনারা আ ব্যবসায়িক খাতের শক্তিশালী সমর্থন দেখছেন। আমার কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যত, আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছর খুব উজ্জ্বল।” তিনি বলেন, “প্রায় চার বছর বিরতির পর এই অনুষ্ঠানের পুনঃসূচনা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। বিশেষ করে এমন এক বছরে, যখন আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।”
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, “এই অর্থবহ বছরটি পর্যবেক্ষণ করে, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এই বছরটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হওয়া উচিত। আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে একটি নতুন এবং উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি যুগান্তকারী বছর হওয়া উচিত।”
কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক সময় ধরে স্থবির। এমনকি, ২০১২ সালে এটি ১৬০ কোটি ডলারে পৌঁছানোর পর, প্রায় ১০ বছর ধরে কমেছে। কোভিড-১৯ মহামারীতে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৪০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে এটি দৃঢ়ভাবে ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে এবং ২০২২ সালে ৩০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। মাত্র দুই বছরে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। আর কোরিয়া এখন ১৪৩ কোটি ডলারের পুঞ্জীভূত স্টক ভলিউম সহ বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ।”
তিনি আশ্বস্ত করেন যে কোরীয় সরকার সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং ব্যবসায়িক খাতের সাফল্যে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, “ব্যবসায়িক খাতে আপনার সাফল্য মানে কোম্পানিগুলোর সাফল্য, সর্বোপরি সরকার ও দেশের সাফল্য।”