
ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেছেন, আপনাদের যে রাজনৈতিক আচরণ তা পরিবর্তন করুন। জুলাই আন্দোলনের পর ছাত্র সমাজের মনস্তাত্ত্বিক পরিবতর্ন ঘটেছে। আর কোনো রাজনৈতিক দাসত্বের নিচে আমরা পা দেবে না। এই ক্যাম্পাসে যারাই রাজনীতি করতে চান তাদের শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে রাজনীতি করতে হবে। কোনো স্বৈরাতন্ত্র কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
আজ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নীচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদল সভাপতি কর্তৃক শাখা শিবির সেক্রেটারিকে হেনস্তা ও হামলা চেষ্টার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল ইসলাম ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এসকল উদ্দেশ্য প্রণোদিত কর্মকান্ড আমরা বুঝি। দেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ চলছে সেটা যাতে আরও অস্হিতিশীল না হয় তাই তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এটা কে ভুল বুঝাবুঝি হিসেবেই ধরে নিয়েছি। আমি ছাত্রদল সহ বন্ধুপ্রতিম অন্যান্য ছাত্র সংগঠনদের বলছি আপনারা তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিবেন না।
এসময় আসাদুল ইসলাম বলেন, আর তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ স্বৈরাচারের পক্ষের শক্তিকে বলতে চাই ফিরে আসার আশা আপনারা প্রত্যাশাও করবেন না। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও ছাত্র সংগঠন আপনাদের আর এই সুযোগ দিবে না কখনও।
তিনি আরও বলেন, শুধু জুলাই বিপ্লব নয় এর পূর্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে স্বৈরাতন্ত্রের বিপক্ষে যত গুলো আন্দোলন ছিল সেখানে শাখা ছাত্রশিবির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে। আজ যে রিয়াজুল ইসলাম কে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই রিয়াজুল ইসলামই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারী প্রশাসন এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলেছে। তখন আপনাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমি খোঁচা মেরে কোনো কথা বলতে চাইনা, রাজনৈতিক সহাবস্থান চাই।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
এর আগে গতকাল বিকেলে পুরাণ ঢাকার সূত্রাপুর থানায় স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জবি শাখা শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মীমাংসা হয়।