
ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত বিজেপির রেখা গুপ্তা। বৃহস্পতিবার (২০ ফ্রেবুয়ারি) দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক বর্ণাঢ্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিজেপি ও তার সহযোগী দল শাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর প্রথম বক্তব্যে রেখা গুপ্তা বলেন, দিল্লিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সততা, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিটি দিল্লিবাসীর কল্যাণ, ক্ষমতায়ন ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করবো।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তার ওপর আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তার মন্ত্রিসভায় বিজেপির ছয়জন সহকর্মী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন পার্বেশ ভার্মা। তিনি দিল্লির নতুন সংসদীয় আসন থেকে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করে ‘জায়ান্ট কিলার’ উপাধি অর্জন করেছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্যও অন্যতম দাবিদার ছিলেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় আরও যারা শপথ নিয়েছেন, তারা হলেন-কপিল শর্মা, মনজিন্দর সিরসা, আশীষ সুদ, পঙ্কজ কুমার সিং এবং রবীন্দ্র ইন্দ্রাজ সিং। এই মন্ত্রিসভায় এখনও তিনটি পদ খালি রয়েছে।
রেখা গুপ্ত হলেন সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত ও আতিশির পর দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তিনি দেশের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীও।
প্রথমবার বিধায়ক হওয়া শালিমার বাগের বিধায়ক রেখা গুপ্তা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় অনেকের কাছে চমক হিসেবে এসেছে। ২০১৩ সাল থেকে শালিমার বাগ আসন ধরে রাখা আপের বান্দনা কুমারিকে পরাজিত করে জয়ী হন তিনি।
বুধবার রাতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক এবং নতুন নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠকের পর তার নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই প্রক্রিয়া ভোটের ফল ঘোষণার দুই সপ্তাহ পর সম্পন্ন হলো, কারণ বিজেপি সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় নেয় এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল।