ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে উৎসবের উপলক্ষটা আগেই সাজিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। অপেক্ষা ছিল রাতে বাহরাইন আর তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের কী ফল হয়।
তুর্কমেনিস্তান আর বাহরাইনের ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। ফলে নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের মেয়েদের এএফসি এশিয়ান কাপে খেলা। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ঋতুপর্ণারা।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও আর কোনো সমীকরণ থাকবে না। মিয়ানমার তাদের শেষ ম্যাচে জিতলেও বাংলাদেশের সমান ৬ পয়েন্ট হবে। কিন্তু হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশই গ্রুপের শীর্ষে থাকবে। তাই আর কোনো বাধা নেই এশিয়ান কাপে খেলার।
শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি এখন নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তবে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জয় তুলে নিতেই মরিয়া থাকবেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এর আগে ১৯৮০ সালে এশিয়া কাপে প্রথম এবং একমাত্র এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো বাংলাদেশ পুরুষ দল। যদিও সেবার বাছাই পর্বে গ্রুপ ২-এ ইরাক তাদের নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের পথচলা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি জয় ও একটি ড্র এবং কাতারের বিপক্ষে একটি ড্রয়ে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ালিফাই করেছিলো বাংলাদেশ।