আগামী ১ আগস্ট থেকে কানাডা থেকে আমদানি হওয়া সকল পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি মার্চে প্রথম আনা ২৫ শতাংশ শুল্কের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। এছাড়াও ট্রাম্প কানাডাকে সতর্ক করে বলেছেন যদি দেশটি শুল্ক বসায় বা অব্যবহৃত পথ ব্যবহার করে, তাহলে শুল্ক আরও বাড়ানো হতে পারে ।
সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে বাণিজ্য ঘাটতি, ফেন্টানিল ক্রাইসিস এবং ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্সের কারণে লক্ষ্য করা হয়েছে কানাডাকে। ২০২৪ সালে কানাডা আমেরিকার বিরুদ্ধে ৬৩.৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি করেছে—এতে বিশেষ ভূমিকা রাখে তেল ও গাড়ি খাত ।
ট্রাম্প কানাডাকে দোষারোপ করছেন আমেরিকায় ফেন্টানিল মাদক প্রবেশে ভূমিকা রাখার জন্য। যদিও ফেন্টানিল আমদানির মাত্র অল্প শতাংশ কানাডা থেকে—তবু ট্রাম্প এটাকে বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরছেন ।
জুনে কানাডা তাদের ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স (DST) বাতিল করেছে — ট্রাম্পের চাপ পড়ার পর । ট্যাক্স তুলে নেওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প শুল্ক বাড়াতে পিছপা হননি, বললেন কৌশলগত চাপ নয়, আরও বড় সন্দেহ রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কানাডা শুল্ক নোটিশ পাওয়ার পর মার্ক কার্নে বলেছেন,“আমরা আমাদের শ্রমিক ও ব্যবসার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছি।”
এসকল সিদ্ধান্ত মার্কিন বাজারের S&P 500 সূচক ও কানাডিয়ান ডলারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তবে, USMCA চুক্তির আওতায় থাকা পণ্যগুলো শুল্ক মুক্ত থাকতে পারে। যেমন তেলের মতো বিশেষ ক্যাটাগরিতে ১০% হারে শুল্ক বৈধ রয়েছে, যা এ নতুন ঘোষণায় পরিবর্তন করা হয়নি।