ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতেছে চেলসি। সবগুলো গোলই হয় ম্যাচের প্রথমার্ধে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ জিতল ইংলিশ ক্লাবটি। তবে এটা বিশেষ। কেননা, এবারই প্রথম ৩২ ক্লাব নিয়ে বিশাল পরিসরে যাত্রা শুরু করেছে টুর্নামেন্টটি, যা টিকে থাকবে পরের সংস্করণগুলোতে।
শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে এই একই মাঠে।
চেলসির জয়ের কারিগর কোলে পালমার। অবিশ্বাস্য ছিলেন তিনি। নিজে করেন দুই গোল এবং সতীর্থ জোয়াও পেদ্রোকে দিয়ে করান আরেকটি। তার জাদুকরী পারফরম্যান্সে প্রথমার্ধেই তিন গোল পায় প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবটি। ২২ ও ৩০ মিনিটে দুই গোল করেন পালমার। ৪৩ মিনিটে অ্যাসিস্ট করেন দলের তৃতীয় গোলে। ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্লুজ’রা।
বিরতির পর গোল শোধ তো দূরের কথা, উল্টো খেই হারায় প্যারিসের ক্লাবটি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জোয়াও নেভেস।
অথচ ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজিই। তাদের বল দখলের পরিমাণ ছিল ৬৭ ভাগ। চেলসির ছিল ৩৩ ভাগ। তবে চেলসি কোচ এনজো মারেসকা বেশ ভালোভাবেই পিএসজির দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফুটবলের আগের বছর বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হলো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। পূর্বে প্রতি আসরের আগের বছর অনুষ্ঠিত হতো ফিফা কনফেডারেশন কাপ। মূলত আগের ক্লাব বিশ্বকাপের বড় ক্যানভাসের সঙ্গে কনফেডারেশন কাপের ফ্লেভার মিলিয়ে আয়োজিত হয়েছে এবারের আসর। স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি প্রস্তুতিও বটে এই টুর্নামেন্ট। ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে তেইশতম বিশ্বকাপ ফুটবল।