
জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসতেই ষড়যন্ত্র জোরদার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্য, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের উত্তরণ রুখে দিতে মাঠে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণসভা’য় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির মতো এত ত্যাগ কোনো রাজনৈতিক দল করেছে কি না, তা ইতিহাস জানে না। বিচার বহির্ভূতভাবে ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তবুও বিএনপি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলনের কৃতিত্ব জনগণের। আজ নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে—এই সুযোগ যেন নষ্ট না হয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। তারা তারেক রহমানের ভয়ে এসব করছে। ফাঁদ পাতা হচ্ছে, কিন্তু বিএনপি তাতে পা দেবে না। তিনি আরও বলেন, “ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। ঘোষিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
ফখরুল দাবি করেন, ৭১ ও ৯০-এর পর ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, তা নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে। সবাই নেমে এসেছিল রাস্তায়, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়াই ছিল সবার লক্ষ্য।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, তারা বিএনপিকে উসকানি দিয়ে ফাঁদে ফেলতে চায়। লন্ডনের বৈঠকে নির্বাচনী আশ্বাসের পরপরই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। উত্তেজনায় ভেসে যাবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না।
বিএনপির অর্জনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের বড় বড় অর্জন বিএনপির হাত ধরেই এসেছে। আমরা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তৎকালীন সরকার দেশকে যেভাবে পিছিয়ে দিয়েছিল, সেখান থেকে মুক্তি ছিল জরুরি। ফ্যাসিস্টরা চেয়েছিল জাতিকে পরাধীন করে রাখতে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি। গণতন্ত্রের উত্তরণ রোধে এখনও অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় নেতা তারেক রহমানকে লক্ষ্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ হচ্ছে—সবই ভয় থেকে।
সভায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় সভাপতি রাকিবুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।