মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই পাকিস্তানের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ১২৯/৭, ২০১৬ সালে মিরপুরেই অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে।
এদিন বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসার মাত্র ৬ রান দিয়ে ৪ ওভার বোলিং কোটা পূর্ণ করে নেন ২ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ৪ ওভারে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগে রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজ নিজেই ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে এই রেকর্ডে ছিলেন শীর্ষে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। প্রথমেই স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। শেখ মেহেদী প্রথম ওভারে সুযোগও তৈরি করেছিলেন। চতুর্থ বলে স্লগ সুইপ খেলতে গেলে বল উঠে গিয়েছিল আকাশে। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। ৪ রানে জীবন পান ফখর।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করেন তাসকিনই। বল হাতে নিয়ে প্রথম ৪ বলেই দিয়ে বসেন ৯ রান। তবে পঞ্চম বলে উইকেটও নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ফ্লিক খেলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন সাইম আইয়ুব (৪ বলে ৬)।
তৃতীয় ওভারে শেখ মেহেদীকে হাঁকাতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ হন মোহাম্মদ হারিস (৩ বলে ৪)। ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
পঞ্চম ওভারে সালমান আগা খেলতেই পারছিলেন না তানজিম হাসান সাকিবকে। টানা চার বল মিস করার পর চিকি শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক (৯ বলে ৩)।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট উপহার দেন মোস্তাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই হাসান নওয়াজ ফেরেন সাজঘরে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর ফখরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৩)। স্ট্রাইকিং এন্ডের কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ফখর যখন ফেরত পাঠান, ততক্ষণে লিটন দাস থ্রো করেছেন ননস্ট্রাইকে। বোলার শেখ মেহেদী ভেঙে দেন স্টাম্প। পঞ্চাশের আগে (৪৬ রানে) পড়ে পাকিস্তানের ৫ উইকেট।
একটা প্রান্ত ধরে ফখর জামান দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে থামতে হয় রানআউটে। মোস্তাফিজের ওভারে খুশদিল দুই নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ফখরের সঙ্গে, তাসকিনের থ্রোতে স্ট্রাইকিং এন্ডের স্টাম্প ভাঙেন লিটন। ৩৪ বলে ৪ চার আর ১ ছক্কায় ফখরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
পরিস্থিতি বুঝে খুশদিল শাহ মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। ২৩ বলে ১৮ করে তিনি হন মোস্তাফিজের শিকার। স্লোয়ারে মিসটাইমিং করে মিডঅফে রিশাদের ক্যাচ হন খুশদিল। ৯ বলে ৫ করে তাসকিনকে উইকেট দেন ফাহিম আশরাফ।
তাসকিন আহমেদ ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে শিকার করেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট তানজিম হাসান সাকিব আর শেখ মেহেদী হাসানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০/১০ (ফখর ৪৪, আব্বাস ২২, খুশদিল ১৭; তাসকিন ৩/২২, মোস্তাফিজ ২/৬, তানজিম ১/২০, মেহেদী ১/৩৭)।