স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে জাতিকে বিভক্ত করতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা সবাই এই দেশকে আপন করে নিয়েছি। এখানে বিভাজনের রাজনীতি চাই না।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে আদর্শ পাবলিকেশনের আয়োজনে ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল: অভ্যুত্থানের অজানা অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্তির রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ। সেই ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে ১৯৭৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান। এটি ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের রূপ, এবং এ ঐক্যই ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতা ছাড়েনি। কারণ তারা ক্ষমতা পরিবর্তনের পথ রাখে না—যেমনটি শেখ মুজিব করেছিলেন। এমনকি তাজউদ্দীনের কন্যাও তার বইয়ে লিখেছেন, শেখ মুজিব ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ রাখেননি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবের কন্যা কোনো শিক্ষা নেননি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, যেভাবে ১৯৭১-এর চেতনা নিয়ে রাজনীতি হয়, সেভাবে যেন ৭৪-এর অভ্যুত্থান নিয়েও কেউ চেতনা ব্যবসা না করে। এটি ছিল গণ-অধিকার আদায়ের লড়াই।
গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যত দিন রক্তাক্ত অধ্যায় লেখা থাকবে, তত দিন শহীদ আবু সাঈদের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা এবং বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুর রহমান।