দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে, যা অর্থনীতিতে সুস্পষ্টভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৬৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১.৭০ বিলিয়ন)। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ডলার = ১২১.৫০ টাকা), বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার ৬০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ২১ দিনে ১৬৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ২১ দিনের তুলনায় ২৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বেশি। গত বছর এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার।
এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছেন প্রায় ২৮২ কোটি (২.৮২ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৩৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর তার আগের মাস মে’তে দেশে এসেছিল ২.৯৭ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। ওই সময় দেশে এসেছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স, মে-তে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এবং সবশেষ জুনে এসেছে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে নানা উদ্যোগ, উৎসবকেন্দ্রিক আয় বৃদ্ধি ও অবৈধ পথে পাঠাতে নিরুৎসাহিত করায় এ প্রবাহ বাড়ছে।