
সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে চাকরি পাওয়া প্রায় ৯০ হাজার ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করছে, জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক)। তিনি বলেন, চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ ভুয়া পরিচয়ে চাকরি পেয়ে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর সভায় সভাপতিত্ব করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বিগত সরকারের সময় অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে সরকারি চাকরি ও নানা সুবিধা নিয়েছেন।” তিনি অভিযোগ করেন, “জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) থাকার পরও অনেক সময় আদালতের মাধ্যমে অমুক্তিযোদ্ধারাও সনদ পেয়েছেন।”
ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, বর্তমান সরকার আদালতে আপিল বিভাগ থেকে সমন্বিত নির্দেশনার জন্য আবেদন করবে, যাতে অন্তর্বর্তীকালীনভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়া যায়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, রাজনৈতিক কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভাজন করা উচিত নয়। তিনি দাবি করেন, “জেলে গেলেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিভিশন সুবিধা থাকা উচিত।”