
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের কৌশলের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুই নেতার মধ্যে ‘ভালো ও বিশদ আলোচনা’ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মোদি। আলোচনায় তাঁরা ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ককে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে মোদি লেখেন, “আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে খুবই ভালো ও বিশদ আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং ভারত-রাশিয়া বিশেষ ও অগ্রাধিকারভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।”
মোদি আরও জানান, “চলতি বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি-পুতিন ফোনালাপের সময়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর কিছুদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তাঁর অভিযোগ—ভারত পরোক্ষভাবে রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রে সহায়তা করছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।
গত বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে ঘোষিত ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ছাড়াও ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ‘অ্যাড ভ্যালোরেম’ শুল্ক আরোপ করা হবে। নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের কারণে যে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলায় এই শুল্ক আরোপ প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত।
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত রাশিয়া থেকে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে জ্বালানি তেল আমদানি করে, যা রাশিয়ার যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।