
বিএনপি যদি আগামীতে ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করে, তাহলে ১৫ দিনও টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন বিএনপির জন্য হবে একটি অগ্নিপরীক্ষা।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তখন বাঙালি জাতি প্রমাণ করেছে তারা বীরের জাতি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশ কল্পনা করেনি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে দেশ ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দেন। অথচ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজও অন্ধকারে রয়ে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নির্বাচন ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনূস অভিজ্ঞ হলেও তার উপদেষ্টা পরিষদের অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য নন। কেউ কেউ গদি আঁকড়ে রাখতে চান, আবার কেউ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেন। স্বাধীনতাবিরোধীরাও এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে পিআর সিস্টেমে ভোটের পরিকল্পনা করছে।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেনি, বরং গণতন্ত্র ছুড়ে ফেলে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দল খুলনা মহানগরীর সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা প্রমুখ।