
ফাইল ছবি
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডাসহ ২৬টি দেশ গাজায় চলমান ‘অকল্পনীয় মাত্রার’ ভোগান্তি ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সংকট মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিংয়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ত্রাণপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সাইয়্যেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “চারপাশে গুলি চলছিল, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের সামনেই মানুষ মারা যাচ্ছিল, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারিনি।”
অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আবু নাহাল বলেন, “আমি হামলার সময় পেটে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম। আমি শুধু আমার বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য এসেছিলাম, খাবার-পানি থাকলে আসতাম না।”
গাজায় খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জনে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২৭, যার মধ্যে ১০০-রও বেশি শিশু রয়েছে।