
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ২০২৩ সালের দাঙ্গা-সংক্রান্ত আট মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে। খবর আরব নিউজের।
২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানকে ভূমি দুর্নীতি মামলায় (আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্নীতি দমন সংস্থা (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো) গ্রেপ্তার করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় তার সমর্থকদের ওপর অভিযোগ ওঠে, তারা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, সামরিক স্থাপনা ও যানবাহনে হামলা চালায়।
পাকিস্তান সরকারের ভাষ্যমতে, দাঙ্গায় প্রায় ২ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অন্তত আটজন নিহত হন। শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সহিংসতায় উসকানি দিয়েছিলেন। তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পিটিআই এক বার্তায় জানায়, “সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে ৯ মে-সংক্রান্ত মামলাগুলোতে জামিন দিয়েছে। এখন শুধু আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেই তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন।”
উল্লেখ্য, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকালে (২০১৮–২০২২) তিনি ও তার স্ত্রী এক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের কাছ থেকে বেআইনিভাবে জমি পেয়েছিলেন। যদিও ইমরান ও বুশরা বিবি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং একটি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছিল।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ওই সময় আদালত তাকে রাষ্ট্রীয় উপহার অবৈধভাবে বিক্রির মামলায় তিন বছরের সাজা দেন। সেই রায় অনুযায়ী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য হয়ে পড়েন পাকিস্তানের এই বিরোধী দলীয় নেতা।