
এশিয়া কাপের আগে শেষ প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে কভিাবে দেখছে বাংলাদেশ। তাই সিলেটে আজ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাসের কথায় বারবার ফিরে এসেছে প্রস্তুতির প্রসঙ্গই।
তবে এই সিরিজে ঝুঁকিও আছে, জিতলে বাড়তি কৃতিত্ব নেই, আর হারলে সমালোচনার ঝড় বইতে বাধ্য। তুলনামূলক দুর্বল দলের কাছে হেরে যাওয়ার মানসিক ধাক্কাও বড় হতে পারে। এ কারণেই লিটন শুরুতেই সতর্ক করে দিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট দল বলে কিছু নেই। আমরা সব সময় খেলি জেতার জন্যই। বাংলাদেশ এর আগে অনেক দলের কাছে হেরেছে, এটা নতুন কিছু নয়। হেরেও যেতে পারি, তবে লক্ষ্য সব সময় জেতা।”
নেদারল্যান্ডসকে নিয়ে সমীহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “তারা হয়তো এই কন্ডিশনে বেশি খেলে না। কিন্তু ভালো উইকেটে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। তাই চ্যালেঞ্জ থাকবেই।”
আগের পাঁচ ম্যাচে চারবার জিতলেও বাংলাদেশ এই সিরিজে নতুন কিছু পরিকল্পনাও করছে। দীর্ঘ বিরতির পর দলে ফিরেছেন নুরুল হাসান (৩ বছর পর) ও সাইফ হাসান (২ বছর পর)। তাই এই সিরিজ একদিকে যেমন এশিয়া কাপের প্রস্তুতি, অন্যদিকে নিয়মিত একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের পরীক্ষার মঞ্চও। লিটনের ভাষায়, “যদি আমাদের হাতে সুযোগ থাকে কিছু খেলোয়াড় দেখার, অবশ্যই দেখব। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লক্ষ্য সব সময় জেতাই।”
বাংলাদেশ দল সিলেটে টানা ১০ দিন প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আজ অনুশীলন করতে পারেনি স্বাগতিকরা, যদিও নেদারল্যান্ডস মাঠে নেমেছে। এখানকার কন্ডিশন নিয়ে আশাবাদী লিটন বললেন, “এশিয়া কাপের ভেন্যু আবুধাবি ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটের জন্য পরিচিত। সিলেটও অনেকটাই ব্যাটিং–সহায়ক। এখানে প্রস্তুতি আমাদের কাজে আসবে।”
বাংলাদেশ কি এবার আড়াই শ রানের ইনিংস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে নামছে? লিটনের উত্তর, “২০০–২৫০ রান করাটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়। যদি করতে পারি, দারুণ হবে। না পারলেও আমরা চেষ্টা করব ধারাবাহিকভাবে ওই জায়গায় পৌঁছানোর।”
এশিয়া কাপের আগে তিন ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হবে আগামী ৩০ আগস্ট।