
বিসিবি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই আলোচনা বাড়ছে দুই সভাপতি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং তামিম ইকবালকে ঘিরে। সম্প্রতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে ‘নির্বাচন না করার হুমকি’ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। যেহেতু বুলবুল হুমকি পেয়েছেন, সেক্ষেত্রে অভিযোগের তীর অনেকটাই যায় তামিম ইকবালের দিকে। কেননা আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে বুলবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছেন তামিম। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তামিম নিজেই।
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন বুলবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী তামিম ইকবাল।
এসবের সুস্পষ্ট ব্যাখা চেয়ে দেশের একটি টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘আমি আসলে এটা খুব বেশি ফলো করি নাই। যদি আসলেই এটা হয়ে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক। যদি কেউ মনে করে থাকে। আমি ক্রিকেটার, সন্ত্রাসী কেউ না। আমি সন্ত্রাসী না (হাসি)। আমার কাছে মনে হয় যে বুলবুল ভাই যখনই যেটা মন্তব্য করেন এটা ওনার পরিষ্কারভাবে বলা উচিত। ওনার মন্তব্য মাঝেমধ্যে কিছু প্রশ্ন রেখে দেয়। এরকম কোনো কল যদি ওনার এসে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই নাম্বারটাও আছে। নাম্বারটা আমার মনে হয় আমাদের দেশে যথেষ্ট ইন্টিলিজেন্স আছে যে কে এই কলটা দিল খুঁজে বের করা। লুকোচুরি না করে উনি যদি ওনার সেফটির কথা চিন্তা করেন তাহলে উনি যে চিঠি দিয়েছেন সেখানে নাম্বারসহ উল্লেখ করে দেয়া উচিত। যদি এরকম কিছু না হয় এটাও পরিষ্কার করে দেয়া উচিত যে এরকম কিছু হয় নাই।’
এদিকে সম্প্রতি বুলবুল জানান, অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনে তাকে বলা হয়েছিল, “নির্বাচন না করলে হয় না?”। ২–৩ দিন আগে এই ফোন আসে বলে বুলবুল জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বুলবুলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি বন্দুকধারী নিয়োগের জন্য বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সেই চিঠিতে হুমকির বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ না করলেও, সভাপতির নিরাপত্তা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বন্দুকধারী নিয়োগের প্রয়োজনীয় দিক উল্লেখ করা হয়েছে।
বুলবুলকে এই ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করার পরামর্শও দেন তামিম। আর যদি এমনটা না হয় তাহলে সেটাও গণমাধ্যমকে সঠিকভাবে জানানো উচিত বলে মনে করেন তামিম।