এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে প্রায় অঘটনের জন্ম দিতে যাচ্ছিল হংকং। শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াকু ব্যাটিং ও বলিংয়ে তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচ জমিয়ে রেখেছিল। তবে শেষ হাসি হাসলো লঙ্কানরাই—৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হংকংয়ের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনার কুশাল মেন্ডিস অল্পতেই ফেরার পর এক প্রান্ত ধরে রাখেন পাথুম নিশাঙ্কা। তবে অপর প্রান্তে ছিল কেবলই উইকেট পতনের ধারা—কামিল মিশারা (১৯), কুশাল পেরেরা (২০), চারিথ আসালাঙ্কা (২) ও কামিন্দু মেন্ডিস (৫) একে একে সাজঘরে ফেরেন। চাপের মুহূর্তে নিশাঙ্কার ব্যাটেই স্বস্তি খুঁজে পায় দল। ৪৪ বলে ৬৮ রানের দাপুটে ইনিংস লঙ্কানদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মাত্র ৯ বলে অপরাজিত ২০ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ম্যাচটিকে শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে ১৮.৫ ওভারে জয় নিশ্চিত করে তারা। হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুরতাজা নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আয়ুস শুকলা, এহসান খান ও আইজাজ খান।
এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করল শ্রীলঙ্কা। অপরদিকে তিন ম্যাচের সবগুলোতে হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো হংকং।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার জিশান আলির ব্যাটে ভালো সূচনা পায় হংকং। ১৭ বলে ২৩ রান করে দ্রুত রান তোলেন তিনি। এরপর ইনিংসকে এগিয়ে নেন আনশি রাথ ও নিজাকাত খান। রাথের ধীরস্থির ব্যাটিং (৪৬ বলে ৪৮) ও নিজাকাতের ৩৮ বলে কার্যকর রান দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহে পৌঁছে দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তা জয় এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। দুশমন্ত চামিরা ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দাসুন শানাকা।
হংকংয়ের আশা জাগানো এই লড়াই নিঃসন্দেহে প্রমাণ করেছে—তাদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।